নিজস্ব প্রতিবেদক:
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় ৮ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানের জামিন আবেদনের শুনানি আগামীকাল (৫ জুলাই) বুধবার। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে। আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সেলিম প্রধানের জামিন আবেদনের ওপর চেম্বার জজ আদালতে বুধবার (৫ জুলাই) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমরা তার জামিনের বিরোধিতা করবো।
এর আগে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় ৮ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধান জামিন চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় গতকাল সোমবার (৩ জুলাই) আবেদনটি করেন।
ওইদিন সেলিম প্রধানের আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেছিলেন, সম্প্রতি সাজার বিরুদ্ধে সেলিম প্রধানের আপিল গ্রহণ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এখন আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করেছি। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে সেলিম প্রধানের জামিন চেয়ে করা আবেদন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানকে ৮ বছর কারাদন্ড ও ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ আদালত-৮ এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়া এ রায় দেন। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটকের পর তার রাজধানীর গুলশান-বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালায় র্যাব। ওই অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সেলিমের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় বলা হয়, অবৈধ উপায়ে ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৭ কোটি ৩১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করেছেন সেলিম প্রধান, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার জানান, অবৈধভাবে উপার্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন সেলিম, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।