ক্রীড়া ডেস্ক:
দুই ঘণ্টার বার্ষিক সাধারণ সভা কিছুটা উত্তপ্ত ছিল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে যতটা না উত্তাপ ছিল, তার বেশি ছিল ২০২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন নিয়ে। ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে বাফুফের বার্ষিক সভায় আসা কাউন্সিলরদেও চাপের মুখে ৬১ কোটি টাকার অগ্রিম বাজেট অনুমোদন হয়নি।
২০২৫ সালে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এবং আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে বাফুফের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১ কোটি ৫২ লাখ ৮১ হাজার টাকা। আয় দেখানো হয়েছে আনুমানিক ৪৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ঘাটতি ১৪ কোটি টাকা। বার্ষিক সাধারণ সভায় অগ্রিম বাজেট পাস করা নিয়ে আপত্তি জানান কয়েকজন কাউন্সিলর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর এজিএম শেষে সমকালকে বলেন, ‘একটা বল পর্যন্ত আমাদের দেওয়া হয় না, টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য অর্থ তো দূরের কথা। ডিএফএর জন্য কোনো নির্ধারিত বাজেট করেনি। আমাদেও কাছে মনে হয়েছে, এটা অসংগতি। তাই ডেলিগেটদের এককথা– এই বাজেট এখন পাস করা যাবে না। নতুন কমিটি আসার পর তখন বাজেট উঠবে।’ বাজেট পাস না হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ানের, ‘বাজেটে জেলা ফুটবল নিয়ে কিছু নেই। আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়েও অনেক আপত্তি রয়েছে।’
ডেলিগেটদের চাওয়াতেই বাজেট অনুমোদন হয়নি বলে স্বীকার করেছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়া মো. ইমরুল হাসান। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি আবার ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যানও, ‘২০২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপিত হয়েছিল। ডেলিগেটরা এটি পরবর্তী কমিটিকে অনুমোদন নেওয়ার জন্য রেফার করেছেন। নতুন কমিটিকে এজিএম বা ইজিএম করে বাজেট পাস করতে হবে।’
বাফুফে ৩ অক্টোবর শেষ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করে। সেই সভায় বাজেট অনুমোদন হয়নি। ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যানকে অবহিত না করেই বাজেট সভায় ওঠায় সেটি অনুমোদন হয়নি। এর পর আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে আরেকটি সভা হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। গতকাল বাজেট পাস না হওয়ার ক্ষেত্রে বাফুফের ফিন্যান্স বিভাগের দায় রয়েছে কিনা– এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আসলে বিষয়টি এ রকম নয়। আমাদের ডেলিগেটরা এটি নতুন কমিটির কাছে পাস করাতে চেয়েছে।’