অন্যের হয়ে লিখিত পরীক্ষা, ভাইভায় ধরা খেলেন তারা

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৪

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জনবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি নেওয়া ২২ পরীক্ষার্থীকে ভাইভায় আটক করা হয়েছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জাম আহমদ।

এর আগে শনিবার দুপুর ২টায় শুরু হওয়া মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে তাদেরকে আটক করা হয় এবং পরে রাতে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৬ অক্টোবর দুপুর ২টা থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার ৫৫ জন শূন্য পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ২২ জনের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার খাতায় লেখার সঙ্গে তাদের নিজস্ব হাতের লেখার কোনো মিল পাওয়া যায়নি। মূলত ভাইভায় অংশগ্রহণকারী এই ২২ পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল, যা ভাইভা বোর্ডে ধরা পড়ে এবং পরে তাদেরকে আটক করা হয়।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) চৌধুরী মোয়াজ্জাম আহমদ বলেন, ভাইভা বোর্ডে ২২ পরীক্ষার্থীর প্রতারণার মাধ্যমে প্রক্সি নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্তরা ভাইভা বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে তাদের প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। আমরা অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষা সদর উপজেলার ১৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২২৬ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরদিন ২৬ অক্টোবর শনিবার দুপুর ২টা থেকে তাদের মৌখিক পরীক্ষা ওই কার্যালয়ে শুরু হয়।

এর আগে চলতি বছরের ২৬ মে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার ৫৫টি শূন্য পদ পূরণের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একমাস জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের শর্ত সাপেক্ষে আবেদনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের সময়ের মধ্যে ১১ হাজার পরীক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেন।