অবসরে গিয়েও ‘পদে আছেন’ মাউশির মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সদ্য সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। ওইদিন ঈদের ছুটির থাকার কারণে তিনি শেষ অফিস করেছেন ৯ এপ্রিল। ১৫ এপ্রিল ঈদের ছুটি শেষে অফিস শুরু হয়। কিন্তু মাউশির ওয়েবসাইটে মহাপরিচালক হিসেবে এখনো তার ছবি ঝুলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মহাপরিচালক ৯ এপ্রিল শেষ অফিস করেছেন। ওয়েবসাইটে তার ছবি ভুলবশত রয়ে গেছে। এটা ঠিক করে দিচ্ছি। নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ না দেওয়ার পর্যন্ত মাউশির (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর শাহেদুল খবির চৌধুরী রুটিন দায়িত্বে আছেন।
এদিকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য জোর তদবির করছেন বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভাগিনা হওয়ার সূত্রে এ তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন। যদিও অবসরে যাওয়ার ১০ দিন আগে তাকে সচিব পদমর্যাদা গ্রেড-১ দেওয়া হয়। এ কারণে তার চুক্তিভিত্তিক মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা। ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে তিনি অবসরে যাওয়ায় নতুন কাউকে ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেয়নি সরকার। তবে খুব শিগগিরই এ পদের নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ দেবে সরকার।
এদিকে শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ এ পদে আসীন হতে আগ্রহী শিক্ষা ক্যাডারের এক ডজনেরও বেশি প্রভাবশালী কর্মকর্তা। এ পদে আসীন হতে বর্তমান মহাপরিচালকসহ অন্তত এক ডজন সিনিয়র অধ্যাপক শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জোর লবিং করছেন। তাদের মধ্যে কেউ রাজনৈতিক তদবিরও করাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর আনুকূল্য পেতে চলছে দেনদরবার। অনেকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। কেউ অন্য মন্ত্রী বা সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতাদের দিয়ে ফোন করাচ্ছেন। কেউ কেউ ছাত্রজীবনে রাজনীতির অভিজ্ঞতা ও পারিবারিক সংশ্লিষ্টতা তুলে ধরে তদবির করছেন।
এ তালিকায় আছেন মাউশির প্রশাসন ও কলেজ শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী, মাউশির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক শফিউল আজিম, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, নায়েমের সাবেক মহাপরিচালক মো. নিজামুল করিম, মাউশির পরিচালক (মনিটরিং) অধ্যাপক আমির হোসেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ ইউসুফ, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) সৈয়দ জাফর আলী, মাউশির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ও পলাশ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদুজ্জামান, বরিশাল বিএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমিনুল হক। মাউশির সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে ধামরাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেলিম মিয়া।