আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্য জাপানের ছোট্ট শহর ফুজিকাওয়াগুচিকো। মাত্র হাজার ছাব্বিশেক লোকের বাস। পাশেই রয়েছে ছবির মত সুন্দর, বিশালাকায় কাওয়াগুচি হ্রদ। আর সেই হ্রদকে ছাপিয়ে শহরের এক পাশের আকাশ জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে জাপানের বিশ্ববিখ্যাত আগ্নেয়গিরি মাউন্ট ফুজি।
বলা হয়ে থাকে মাউন্ট ফুজির সৌন্দর্য জাপানের ফুজিকাওয়াগুচিকো শহরের অন্যতম আকর্ষণ। বিশ্বের নানা দিক থেকে পর্যটকরা আসেন এখানে এই অপরূপ দৃশ্যের সাথে ছবি তুলতে।
কিন্তু ছবি তোলার এই হিড়িক মাঝেমাঝেই পরিণত হয় বিশৃঙ্খলায়। পর্যটকদের নিয়ম ভাঙা রুখতে শহরটির কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ধাতব তারের একটি বিশাল দেওয়াল তুলেছে, যাতে কিছুটা বিরত হন পর্যটকরা। বার্তা সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, তারের এই দেওয়াল আট ফুট উঁচু ও প্রস্থে ৬৫ ফুট।
গত কয়েক বছর ধরেই স্থানীয়দের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে পর্যটকরা, যারা পথেঘাটে ময়লা-আবর্জনা ফেলে, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে সেলফি তুলতে ছোটে। ছবির মতো সুন্দর এই শহরটিতে ততোধিক সুন্দর পাহাড়ের সাথে ছবি তুলতে গাড়ি পার্ক করা ও ধূমপানের বিধি লঙ্ঘন করে থাকেন পর্যটকেরা।
জাপানের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, এমন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তারা দুঃখিত, কিন্তু পর্যটকদের বারবার সতর্ক করে কোনো সুরাহা না হওয়াতেই তারা বাধ্য হন দেওয়াল তুলতে।
সোমবার, ইয়ামানাশি কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে জানায়, ১ জুলাই থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইয়ামানাশির ইয়োশিডা অঞ্চলে হাইক করতে পারবেন পর্যটকরা। যারা মাউন্ট ফুজিতে হাইক করতে চান, তাদের আগে থেকে টাকা দিয়ে স্লট বুক করতে হবে। কারণ, তা না হলে অহেতুক ভিড়ের ফলে শহরে আবর্জনা বাড়বে, এবং তাড়াহুড়োয় পাহাড় চড়তে যাবার বিপদও থাকে বলে জানায় তারা। প্রতি দিন শুধু চার হাজার মানুষ এই পাহাড়ে চড়ার অনুমতি পাবেন।
জাপানের জাতীয় পর্যটন সংস্থার আশা চলতি বছরে রেকর্ড সংখ্যক তিন কোটি ২০ লাখ পর্যটক ভিড় জমাবেন জাপানে।