অর্থ আত্মসাতে ৪ জন সাব-রেজিস্ট্রারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ২:৩০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকারের ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার সাব-রেজিস্ট্রার ও কর পরিদর্শকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুদকের গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- কর পরিদর্শক ও জমির মালিক আবু হাসান মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, তার স্ত্রী মিসেস লাকী রেজওয়ানা, জমির মালিক গাজীপুরের বাসিন্দা মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. রাসেল মিয়া, মো. ইব্রাহীম মৃধা, কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মোঃ নাছির উদ্দিন, গাজীপুরের কালিগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রার খোন্দকার গোলাম কবির, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোছাঃ আনোয়ারা বেগম এবং মোঃ মোজাহারুল ইসলাম।

মামলার এজাহার বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার আশ্রয়ে ‘চালা/নাল/বাগান/বাড়ী শ্রেণীর পরিবর্তে ‘সাইল/বাইদ’ শ্রেণী দেখিয়ে জমির জাল আরএস বা নামজারী খতিয়ান, খাজনার রশীদ তৈরি করে ও ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সর্বনিম্ন মৌজা রেটে ১৪টি দলিলের জমি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। কর পরিদর্শক আবু হাসান মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, তার স্ত্রী মিসেস লাকী রেজওয়ানাসহ অন্যান্য তিন মালিক সাব-রেজিস্ট্রার ও দালিল লেখকের সহায়তায় একই প্রক্রিয়ায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রকৃত জমির শ্রেণীর পরিবর্তন করে সর্বনিম্ন মৌজা রেটে রেজিস্ট্রেশন করে সরকারের ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭২ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।