আইএফআইসি ব্যাংকে বিক্ষোভ, ৯ দফা দাবি ঘোষণা

প্রকাশিত: ১২:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৪

সেলিনা আক্তার:

বেসরকারি খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ বেক্সিমকোর সব পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ এ সরোয়ারের সময়ে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়। আজ রোববার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে প্রায় ২০০ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি বিক্ষোভে অংশ নেন।

তারা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। সহযোগী ছিল সাবেক এমডি ও বর্তমান উপদেষ্টা শাহ এ সরোয়ার। শাহ এ সরোয়ার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারিকে চাকরিচ্যুত করেন।
বিক্ষোভকারীরা কর্মসূচি থেকে ৯ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো-

১. মানসিক চাপ সৃষ্টি করে যে সব কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে চাকরির থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, তাদের অনতিবিলম্বে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। যারা ইতোমধ্যে চাকরির বয়স অতিক্রম করেছেন প্রমোশন ও ইনক্রিমেন্টসহ তাদের পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
২. দুর্নীতিবাজ সাবেক এমডি (বর্তমান অ্যাডভাইজার) শাহ আলম সরোয়ার ও তার দোসরদেরকে চাকুরিচ্যুত করে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।

৩. যে সব কর্মকর্তা কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে প্রমোশন পায়নি, তাদেরকে উচ্চতর গ্রেডে প্রমোশন দিতে হবে।

৪. পারফরম্যান্স বোনাস বাতিল করে প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারিকে তাদের বেসিক বেতনের অনুযায়ী বার্ষিক প্রফিট বোনাস দিতে হবে।

৫. বর্তমান আইন বাতিল করে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বার্ষিক পারফরম্যান্স নির্ধারণ করতে হবে।

৬. লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীদের প্রমোশন দিতে হবে। প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত একটি প্রমোশন দিতে হবে।

৭. দুর্নীতির সাথে যেসব নির্বাহী, অফিসার কিংবা জড়িত সেসব দুর্নীতিবাজদের চাকুরিচ্যুত করতে হবে।

৮. ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের ঋণ পূণঃতফসিল এবং ঋণের সুদ মওকুফ করা যাবে না। খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৯. ব্যাংকে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের মাঝে যে ভয়ের সংস্কৃতি চালু রয়েছে, তা দূর করে ব্যাংকে স্বাধীন সার্ভিস তথা কর্মীবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে।