আইসোলেশনে মৃত নারীর দাফনে কবর খুঁড়লেন পুলিশ কর্মকর্তা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
২৫০ শয্যা চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ৪০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রাতে হাজীগঞ্জে শ্বশুরবাড়ির কবরস্থানে দাফন করতে গেলে গ্রামবাসীর বাধা দেয়। পরে চাঁদপুরের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর দাফন হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও করোনা–বিষয়ক ফোকাল পারসন সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, গতকাল রাত ৮টার দিকে জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন ওই নারী। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ঘণ্টা দেড়েক পর তিনি মারা যান। এ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন দুই নারী ও দুই পুরুষের মৃত্যু হলো।
চাঁদপুর জেলার সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ওই নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ওই নারীর স্বজন ও পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১২টার দিকে ওই নারীর লাশ হাজীগঞ্জ উপজেলায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির কবরস্থানে দাফন করার জন্য নেওয়া হয়। তখন গ্রামবাসী বাধা দেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে যান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও কচুয়া সার্কেল) আফজাল হোসেন। তিনি নিজেই কবর খুড়েন। লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এলাকাবাসী লাশ দাফনে বাধা দিচ্ছেন শুনে আমি নিজে রাত একটায় সেখানে যাই। সবাইকে বুঝিয়ে লাশটি দাফন করি।’
অভিযোগ আছে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রামের লোকজনকে নিয়ে লাশ দাফনে বাধা দেন। তবে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো বাধা দেইনি। গ্রামবাসী আমাকে জানিয়েছেন, গ্রামটি ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে দাফন করলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক আছে।’