আওয়ামী লীগ-ভারত-তথ্যসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না: হাসনাত

নিজেস্ব প্রতিবেদক:
‘দৈনিক প্রথম আলো’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কড়া সমালোচনা করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, তথ্যসন্ত্রাস করেন- আমি ভারত আর ‘র’ এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না। আর আওয়ামী লীগকে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ জীবন থাকতে সফল হতে দিবো না।
শনিবার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাতে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।
জানা যায়, গতকাল প্রথম আলো পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে শিরোনাম করে ‘হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন’। এই প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ চেলেঞ্জ করে এক পোস্টে জানান, ওই বৈঠকে এমন কোনো প্রশ্ন তোলা হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে কোনো কথাও হয়নি। পরে সমালোচনার মুখে পত্রিকাটি প্রতিবদেন সংশোধন করে ‘এনসিপির সাধারণ সভা: নানা প্রশ্ন ও অভিযোগের জবাব দিলেন নেতারা’,- এই শিরোনামে অনলাইনে একটি প্রতিবেদন করে। প্রতিবেদনটির শেষে একটি সংশোধনী যোগ করেছে গণমাধ্যমটি।
এতে বলা হয়েছে, এই প্রতিবেদনের প্রথম প্রকাশিত শিরোনাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবেদনের ভেতরের অংশবিশেষও পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের পরে আরও কিছু তথ্য জানার পর এই পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হলো।
হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট তুলে ধরা হলো:
প্রথম আলো আজ (১৯ এপ্রিল) শিরোনাম করেছে ‘হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন’। আমি প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান, আমি কত বিলাসি জীবনযাপন করি।
দিল্লী থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন, হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন; তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন। থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম। ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাই রুখে দাঁড়াতাম না।
থামার হলে আপনাদের মতোই ভারত বা ‘র’ এদের তাবেদারি করে মন্ত্রী হওয়ার হিসাব করতাম। বিলাসিতাই যদি করতে চাইতাম; তাহলে আমার এতো যুদ্ধ করার দরকার ছিল না। আপনাদের সাথে মিলে মিশেই বিলাসি জীবন বেছে নিতে পারতাম।
আমি সেটা করিনি এবং করবোও না। যতই তথ্যসন্ত্রাস করেন আমি ভারত আর ‘র’ এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না, আওয়ামী লীগ ফেরানোর কোন উদ্যোগ জীবন থাকতে সফল হতে দিব না।
আমি কত বিলাসি জীবনযাপন করি, সেটা সবাই জানে। আমার ব্যাংক ব্যালেন্স থেকে শুরু করি ট্যাক্স রিটার্ন সবকিছুই একসেস (প্রবেশ) করা যায়। আপনারাও একসেস করতে পারতেন কিন্তু আপনারা করেননি। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, গতকালের মিটিংয়ে আমার এসব বিষয়ে কোন কথাই হয়নি, প্রশ্নও হয়নি। অথচ এত বড় মিথ্যা আমার নামে ছাপিয়ে দিলেন।
আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করছি, আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি, এটা কেউ প্রমাণ করুক। যেকোন ভাবে। সরকারি-বেসরকারি যেকোনো গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় তদন্ত হোক। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু এসব মিথ্যা নিউজ করে আমাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা যাবে না।
প্রথম আলো বারবারই এ দেশের সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। ‘র’ এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমাকে নিয়ে এই তথ্যসন্ত্রাস কাকতালীয় হতে পারে না।
এসব তথ্যসন্ত্রাস দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না। যতদিন দেহে প্রাণ আছে, আমি এই দেশে দিল্লির সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো। তাতে আমার রাজনীতি যদি না থাকে, আমাকে যদি মাইনাস করা হয়, হোক।
আমাদেরকে মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত ও ‘র’ আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।