ক্রীড়া ডেস্কঃ
গেল ডিসেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়া যুব এশিয়া কাপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। এরপরই ২০২০ সালে জেতা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে তারা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই হারের স্বাদ নিয়ে খানিকটা ধাক্কা খায় টাইগার যুবারা।
তবে শিরোপা জয়ের সেই আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আজ গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবেন যুবারা। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মানগাউং ওভালে অনুষ্ঠিত হবে। শেষ ছয়ে উঠার দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের যুবাদের সামনে।
দেশ ছাড়ার আগে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই খানিকটা এলোমেলো হয়ে যায়। আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি দলের কেউই। বল হাতে শুধু জ্বলতে দেখা গিয়েছিল মারুফ মৃধাকে। শেষ অবদি ৮৪ রানের ব্যবধানে হেরে আসর আসর শুরু করতে হয়েছে রাব্বিদের। তবে এখনো পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। আর এর জন্য পরের দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। সেই সমীকরণ মাথায় নিয়েই আজ গ্রুপ ‘এ’ তৃতীয় এবং নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে সদ্য এশিয়া কাপ জয় করা আরিফুল, শিবলী, মাহফুজুররা।
বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে হার থাকলেও আয়ারল্যান্ডের প্রথম ম্যাচে রয়েছে সুখকরণ স্মৃতি। তারা আসরের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। যদিও যুব বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ হারের ইতিহাস নেই টাইগার যুবাদের। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে পাঁচ বারের দেখায় শতভাগ জয় বাংলাদেশের। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশের যুবারা। তবে দেখবার বিষয় ভারতের ম্যাচের মতো মাঠে নিজেদের হারিয়ে ফেলেন কি না, সেইটার।
এর আগে ২০২০ সালে জেতা শিরোপাটা পরের আসরে ধরে রাখতে পারেননি লাল-সবুজেরা। গতবার ভারতের কাছে হেরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় টাইগার যুবারা। এবার সেই ভারত দিয়েই আসরে যাত্রা শুরু করে হেরেছে বাংলাদেশ। এই দুই দল ছাড়াও ‘এ’ গ্রুপে আরও আছে আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপ পর্বে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ তিন দল নিয়ে হবে ১২ দলের সুপার সিক্স পর্ব। সেখানে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে তারা। তাই পরের রাউন্ডে যেতে হলে কোনো মতে গ্রুপের শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকতেই হবে।