আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
নিজেকে কীভাবে রক্ষা করা যায় সে সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নিজেই নেবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই কথা বলেছেন। এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়। ইসরায়েলে ইরানি হামলার পর দেশটিকে প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে সংযমের আহ্বান জানিয়েছিল পশ্চিমারা। এরপরই এমন কথা বলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি সেভেন ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞাগুলো বিবেচনা করার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছে।দামেস্কে ইরানি দূতাবাস কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পহেলা এপ্রিল দেশটিতে পাল্টা হামলা করেছিল ইরান। তবে অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করেছিল ইসরায়েল এবং তার মিত্ররা। এই হামলায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
তবে ইসরায়েল অবশ্যই ইরানের করা এই হামলার প্রতিশোধ নেবে বলে জানিয়েছে। এদিকে ইসরায়েলের এমন হুমকির প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা হুমকি দিতে পিছপা হয়নি ইরান। ইসরায়েল কোনও প্রকার হামলা করলে এর প্রতিশোধ হিসেবে আবারও হামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’তে হামলার কথা জানিয়েছিল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। ইসরায়েলের উত্তর সীমান্ত জুড়ে সংঘর্ষের আরও বাড়তে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যেই এই হামলা করেছে তারা।
এর আগে, জার্মান এবং ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন নেতানিয়াহু। তারা উভয়েই ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। দেশটিতে ইরানের হামলার পরপরই এই সফর করেন তারা। সফরে গাজায় চলমান যুদ্ধের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে এই সংঘাত যাতে একটি আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ না নেয় এ বিষয়ে জোর দেন তারা।
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, অ্যানালেনা বেয়ারবক এবং ডেভিড ক্যামেরনকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি এটি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নিজেরাই নেব। নিজেকে রক্ষার জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।’