নিজেস্ব প্রতিবেদক:
আমাদের চারপাশে টক্সিক (বিষাক্ত) মানুষের উপস্থিতি অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ ধরনের মানুষদের আচরণ, কথাবার্তা ও মনোভাব তাদের বিষাক্ত চরিত্রের পরিচয় দেয়। তারা জীবনসঙ্গী, বন্ধু কিংবা সহকর্মী যেই হোক না কেন, তাদের প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে গভীর ছাপ ফেলে। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আপনিই কি টক্সিক? নিজেকে যাচাই করতে নিচের লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিন।
টক্সিক মানুষ চেনার লক্ষণ
১. অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণতা
আপনি কি আপনার সঙ্গী বা ঘনিষ্ঠজনদের প্রতি সবসময় সন্দেহ করেন? তাদের প্রতিটি কথা বা কাজ নেতিবাচকভাবে ব্যাখ্যা করেন? যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে বুঝে নিন, আপনার আচরণ টক্সিক।
২. অতিরিক্ত গুরুত্ব চাওয়া
নিজেকে সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া এবং অন্যদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখাতে অপারগ হলে আপনি বিষাক্ত আচরণের অধিকারী।
৩. কথায় মানসিক আঘাত করা
আপনার সঙ্গে কথা বলার পর কেউ যদি নিজেকে হালকা অনুভব না করে বরং মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, তাহলে বুঝতে হবে আপনি তাকে নেতিবাচক প্রভাবিত করছেন। এর ফলে তার মধ্যে হতাশা আর না পাওয়ার অনুভূতি জন্ম নেয়।
৪. দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া
আপনি কি কোনো পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিতে চান না, বরং সব দায়ভার অন্যের ওপর চাপিয়ে দেন? আবার কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করেন? এ ধরনের মানসিকতা টক্সিক প্রকৃতির নির্দেশ করে।
৫. সমালোচনা ও নেতিবাচক চর্চা
আপনার কি সবসময় অন্যের সমালোচনা করা, কথা লাগানো বা চরিত্রের বিশ্লেষণ করার প্রবণতা রয়েছে? যদি এটি আপনার প্রিয় কাজের মধ্যে পড়ে, তাহলে এটিও টক্সিক আচরণের অংশ।
৬. অন্যকে ছোট করা
টক্সিক মানুষরা সাধারণত অন্যদের কথা ও কাজ দিয়ে অপমান করে। অনেক সময় তারা পরশ্রীকাতরতায়ও ভোগে। আপনার মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্য থাকলে, নিজেকে বিষাক্ত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করতে দ্বিধা করবেন না।
৭. সহানুভূতির অভাব
আপনি যদি অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল না হন কিংবা তাদের প্রতি ছাড় দেওয়ার মানসিকতা না রাখেন, তাহলে বুঝুন, আপনার আচরণ অন্যদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।
টক্সিক আচরণের প্রভাব
এ ধরনের মানুষের সান্নিধ্য সাধারণত কেউ পছন্দ করে না। বরং সবাই তাদের এড়িয়ে চলে। তাই যদি মনে করেন, এই আচরণগুলো আপনার মধ্যে বিদ্যমান, তবে এখনই সচেতন হন এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যান।