ডেস্ক রিপোর্ট:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪ সালের মার্চ মাসে। এই নির্বাচনেও প্রার্থীতার ঘোষণার দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আর পুতিন নির্বাচন করা মানে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। কারণ ক্রেমলিন প্রধান মনে করেন, তাকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়ের মধ্য দিয়ে রাশিয়াকে পরিচালনা করতে হবে। ছয়টি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জুন মাসে ভাগনার নেতা প্রিগোশিনের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহ দমন করার পরে সশস্ত্র বাহিনী এবং মস্কোর বাইরে আঞ্চলিক ভোটারদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীতে তার মূল ঘাঁটির সমর্থন জোগাতে এগিয়ে এসেছেন পুতিন। ভাগনারকে শক্তভাবে দমন করা হয়েছে এর মধ্যে।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা, অস্ত্র এবং সামগ্রিক বাজেট ব্যয় বেড়েছে যখন পুতিন সাম্প্রতিক মাসগুলিতে অঞ্চলগুলোসহ বহু জনসাধারণের উপস্থিতি করেছেন। পরিকল্পনার বিষয়ে জানে এমন এক সূত্র রয়টার্সকে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- তিনিই (দেশ) চালাবেন।’
আরেকটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছেন, একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং পুতিনের উপদেষ্টারা তার অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অন্য তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্রেমলিনের রাজনীতির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রগুলো রয়টার্সের সাথে কথা বলেছে।
তাদের মধ্যে একজন বলেছেন, একটি কোরিওগ্রাফিত ইঙ্গিত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আসার কারণ ছিল, গত মাসে একটি কমার্স্যান্ট সংবাদপত্রের প্রতিবেদন নিশ্চিত করেছে।
যদিও অনেক কূটনীতিক, গুপ্তচর এবং কর্মকর্তারা বলেছেন, পুতিন আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন বলে তারা আশা করছেন, এখন পর্যন্ত পুতিনের পুনঃনির্বাচনে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার কোনো সুনির্দিষ্ট নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পুতিন এখনও এই বিষয়ে মন্তব্য করেননি। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি।
জোসেফ স্ট্যালিনের পর থেকে যে কোনও শাসকের চেয়ে দীর্ঘদিন প্রেসিডেন্ট পদে থেকেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তারপরও ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ তিনি।