আবাসিক হল ও পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কমিটির সভায় আবাসিক হল বন্ধ রেখে স্নাতক, স্নাতকোত্তরসহ বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তের পর থেকেই এর প্রতিবাদ করে আসছেন তাঁরা। একই দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোও।
তবে হল খোলা রেখে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তটি উপাচার্যের একার পক্ষে নেওয়া সম্ভব না বলে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি পরবর্তী সময়ে একাডেমিক কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার ১১৯তম একাডেমিক কমিটির সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল বন্ধ রেখে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের আটকে থাকা চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে বিভাগ চাইলে বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতিও দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, শুধু পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হঠাৎ করে মেস বা বাসা খুঁজে পাওয়া কঠিন। ফলে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় থেকে পরীক্ষা দিলে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তাই আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তাদের।
শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন। শুক্রবার সংগঠনগুলো পৃথক প্রেস বার্তায় এ দাবি জানায়। এ ছাড়া একই দাবি জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও।
এদিকে শাখা ছাত্রলীগ বিবৃতি দিয়ে দাবি না জানালেও নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দীকি আরাফাত বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের সবার দাবি আবাসিক ও পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়া হোক। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এ ব্যাপারে আমিও ব্যক্তিগতভাবে পজিটিভ। তবে একাডেমিক কাউন্সিলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, একার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। তবে আমরা সরকারের সবুজ সংকেতের দিকে চেয়ে আছি। ইউজিসির সঙ্গেও আমি এ ব্যাপারে কথা বলব।