আ. লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশ একদিন পিছিয়েছে শুক্রবার

প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি:

শান্তি সমাবেশ একদিন পিছিয়েছে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের বদলে পরশু শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এই সমাবেশ হবে। বিএনপির মহাসমাবেশ পেছানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আধাঘণ্টার মধ্যে শান্তি সমাবেশ পেছানোর এমন সিদ্ধান্ত জানালেন সরকার সমর্থকরাও।

বুধবার রাত সোয়া ৯টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সমকালকে বলেন, ‘পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে দলের তিন সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। কিন্তু এই মাঠে সমাবেশ করতে হলে মঞ্চ তৈরিসহ প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতির জন্য দুদিন সময়ের প্রয়োজন। এজন্য সমাবেশটি পিছিয়ে শুক্রবার নির্ধারণ করা হয়েছে। বেলা আড়াইটায় এই সমাবেশ হবে।’ এই সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

এর আগে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের স্থান নিয়ে বুধবার দিনভর টানাপোড়েন চলেছে। যদিও কর্মসূচি ঘোষণার শুরুতেই সমাবেশের স্থান হিসেবে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম গেট নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী প্রশাসন থেকে মৌখিক অনুমোদনও নেওয়া হয়েছিল। পরে সমাবেশে আগত কয়েকলাখ নেতাকর্মীর স্থান সংকুলানের প্রয়োজনে বায়তুল মোকাররমের পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিলেন আয়োজক সংগঠনের নেতারা। গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি লিখিত আবেদনপত্র ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে দেওয়া হয়। একইদিন বিএনপির পক্ষ থেকেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।

এই অবস্থায় বুধবার দুপুরে ডিএমপি থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো পক্ষেরই সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিশেষ নির্দেশনার কথাও জানানো হয়। এরপর বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে সমাবেশের জন্য মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করে তিন সংগঠন। কিন্তু বিকেলেই কর্মব্যস্ত দিনে রাস্তায় জমায়েত করা যাবে না- এমন কারণ দেখিয়ে সেখানেও সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়। ফলে এ নিয়ে আরেক দফা জটিলতা দেখা দেয়।

সন্ধ্যায় আয়োজক সংগঠনের নেতারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবেশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন জানান। একইসঙ্গে মহানগর নাট্যমঞ্চ অথবা আগারগাঁওয়ের পুরনো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠেও সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ডিএমপির কাছে। রাতে বৈঠক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়ার কথা জানানো হয়। একইসঙ্গে ডিএমপি থেকে আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার কথাও জানানো হয়।