সানজিদা মাহবুবা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৩ শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, শিক্ষক ও ২ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হন। এ ঘটনার কারণ উদঘাটন ও দোষীদের চিহ্নিত করার জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
শেখ রাসেল হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল কাদেরকে আহ্বায়ক ও তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ- রেজিস্ট্রার সাহেদ হাসানকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
অফিস সূত্রে বলা হয়, গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ ও আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘটিত শৃঙ্খলা পরিপন্থী ঘটনার কারণ ও তথ্য উদঘাটন করে দোষীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। গঠিত কমিটিকে ফাইলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আদেশ করা হলো।
কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল কাদের বলেন, চিঠি হাতে পেয়েছি। কমিটির সদস্যের সঙ্গে বসে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এতে প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে রবিবার সকালে প্রক্টর ও অন্যান্য শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীর। পরে হামলায় জড়িতদের তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে সংবাদ সম্মেলন করেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘটনায় হামলার জন্য তিন শিক্ষার্থীকে ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযোগ করেন। পরে সোমবার আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত ৩ শিক্ষার্থী।
এদিকে প্রক্টরের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান ইবি শাখা ছাত্রদল।