ইয়াবা দিয়ে কলেজছাত্রকে ফাঁসানোর অভিযোগে এসআই ক্লোজড

প্রকাশিত: ২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২৩

বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালে দাবিকৃত টাকা না পেয়ে আব্দুল্লাহ বিন লাদেন নামের এক কলেজছাত্রকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে কাউনিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেদওয়ান হোসেন রিয়াদকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি উপ-পুলিশ কমিশনারকে  (উত্তর) খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। তিনি কাজ করছেন। প্রাথমিক তদন্তে এসআই রিয়াদ যে নিজ থানা এলাকার বাইরে গিয়েছিলেন, তা উঠে এসেছে। তাই তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী লাদেনের বাবা মোসলেম জমাদ্দার। তিনি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের চরফেনুয়া এলাকার বাসিন্দা। তার ছেলে আব্দুল্লাহ বিন লাদেন আলেকান্দা সরকারি কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের ছাত্র। গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) তিন পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের অভিযোগে এসআই রিয়াদের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জামিন আবেদনের পর বৃহস্পতিবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

এরআগে জমি সংক্রান্ত এক মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গত মঙ্গলবার সকালে ‘উপবন’ লঞ্চযোগে শ্রীপুর থেকে বরিশালের লঞ্চঘাটে আসেন মোসলেম ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ। কোতোয়ালি মডেল থানার লঞ্চঘাটের গেট থেকে বের হওয়ার সময় আইনের লোক পরিচয় দিয়ে এসআই রেদওয়ান হোসেন রিয়াদ ও তার সঙ্গে থাকা আরেকজন বাবা-ছেলেকে তল্লাশি করেন। এরপর মাদক উদ্ধারের নামে দিনভর তাদের সঙ্গে নিয়ে নগরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে এক লাখ টাকা দাবি করেন রিয়াদ। ওই টাকা নিতে তিনি বিকাশ নম্বর দেন এবং বাবাকে ছেড়ে দিয়ে ছেলেকে কাউনিয়া থানায় আটক রাখেন।

মোসলেম জমাদ্দারের ভাতিজা আব্দুর রহিম বলেন, চাচা পান ছাড়া কিছুই খান না। আর চাচাতো ভাই তো কোনো ধরনের নেশাই করে না, সেখানে মাদকের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

ঘটনার দিন এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, রিয়াদ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে তিন পিস ইয়াবাসহ ওই যুবককে আটক করেছেন- এমন খবর আমার কাছে রয়েছে। তার কাছে নাকি আরও ইয়াবা পাওয়ার কথা ছিল। অভিযান শেষ করে বিকেলে তাকে থানায় রেখে যান রিয়াদ। এতে যদি এসআই রিয়াদের দোষ পাওয়া যায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।