আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইসরায়েলের ওপর নজিরবিহীন হামলার দায়ে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়া রোধে এমন পরিকল্পনার করেছে তারা। কেননা, এই হামলার ইস্যু নিয়ে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ইসরায়েলি যুদ্ধ মন্ত্রিসভায় তৃতীয়বারের মত বৈঠকে হতে যাচ্ছে। বৈঠক ইরানি হামলার প্রতিক্রিয়া কেমন হবে সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
শনিবার রাতে করা ইরানি হামলায় ইসরায়েলে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কেননা, ইসরায়েল ও তার মিত্ররা বিমান প্রতিরক্ষা এবং পাল্টা ব্যবস্থা ব্যবহার করে অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে এই হামলার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে এবং ইসরায়েলকে ব্যাপক প্রতিশোধ নেওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, আগামী দিনে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি আশা করছে, মার্কিন মিত্ররাও তাদেরকে অনুসরণ করবে।
এর আগে, ওয়াশিংটনে একটি সংবাদ সম্মেলনে ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেছিলেন, ইরানের ‘সন্ত্রাসবাদী অর্থায়ন’ ব্যাহত করার সব ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা তাদের রয়েছে। শিগগিরই ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার আশা করছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি ভিডিও কনফারেন্সের পর ব্রাসেলসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, কিছু সদস্য রাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রসারিত করার কথা বলেছে। ব্লকের কূটনৈতিক পরিষেবা এই প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করবে।
ইসরায়েলের সামরিক চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার ‘প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।