ডেস্ক রিপোর্ট:
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ যেন অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে প্রথম থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে যুদ্ধের বিস্তৃতি ঠেকাতে কাজ করছে আরব দেশগুলোর নেতারাও।
তবে পশ্চিমাদের হুঁশিয়ারি এবং আরব নেতাদের চেষ্টার পরও হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধে ইতিমধ্যে ‘কিছুটা’ জড়িয়ে গেছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। লেবাননভিত্তিক এই মিলিশিয়া বাহিনী গত কয়েকদিন ধরে ইসরায়েলের সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। সামনের দিন গুলোতে দুই পক্ষের মধ্যে বড় যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে এখন।
তবে হিজবুল্লাহ যদি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় তাহলে ইসরায়েল সরাসরি ইরানে হামলা চালাবে বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী নির বারকাত।
রোববার (২২ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, হিজবুল্লাহকে দিয়ে ইরানই মূলত ইসরায়েলে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেছেন, ‘ইরানের লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের ওপর সব দিক দিয়ে হামলা চালানো। যদি আমরা বুঝতে পারি তারা (হিজবুল্লাহ) ইসরায়েলে হামলা চালাতে চায়, শুধুমাত্র আমাদের সব ফ্রন্টে নয়, আমরা সাপের মাথা, ইরানের ওপরও হামলা চালাব।’
ইসরায়েলি অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, যদি হিজবুল্লাহ ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করে তাহলে এর ফলাফল হিসেবে ‘পৃথিবীর বুক থেকে হিজবুল্লাহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
হিজবুল্লাহর সঙ্গে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কায় লেবানন সীমান্ত থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। তবে রোববার নতুন করে উত্তর সীমান্তের আরও ১৪টি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ইসরায়েলিদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
উত্তর সীমান্ত এলাকার ২৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য গত সপ্তাহে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে ইসরায়েল। রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা লেবানন সীমান্ত লাগোয়া উত্তর ইসরায়েলের আরও ১৪টি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার তালিকা তৈরি করেছে।
কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকার ১৪টি গ্রামের বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত সপ্তাহে আরও ২৮টি বসতির লোকজনকে রাষ্ট্র-পরিচালিত অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সীমান্ত থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ অনেকের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।