নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারি ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণকে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ যেভাবে ডিজিটালাইজড করেছে, সেই সাফল্য বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে একটি মহল। এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার পেতে রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা করেছে নগদ। আজ বুধবার (৭ জুন) এ মামলা করা হয়।
জানা যায়, সম্প্রতি নগদের প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি বিতরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে রাজধানীর বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে নগদ। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো কিছু ফেসুবক পেজ ও কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সরকারের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করা নগদের মাধ্যমে সব সরকারি ভাতা প্রান্তিক পর্যায়ে বিতরণ করতে ২০২০ সালের শুরুতে একটি অনুশাসন জারি করেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বিদেশি অংশীদারত্বের অন্য বেসরকারি মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাতা বিতরণ করে আসছিল। কিন্তু সেসব বিতরণ কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি ভাতাভোগীরা তাদের ভাতা না পাওয়াসহ বিভিন্ন রকম অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সরকারও সন্তুষ্ট ছিল না। ফলে সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার অনেকগুলো আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে নগদকে ভাতা বিতরণের জন্য বেছে নিয়েছে।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে উপবৃত্তি এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নগদকে বেছে নিয়েছে। আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় এবং সংস্থাও ভাতা বিতরণের জন্য নগদকেই এককভাবে বেছে নিতে যাচ্ছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে একটি চক্র।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগদের স্ট্রাটেজিক রিলেশন্স অ্যান্ড এলইএ অপারেশন্স চিফ লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাওসার সওকত আলী নিউজ পোস্ট বিডি ডটকমকে বলেন, বিভিন্নভাবে আমরা বরবার আক্রান্ত হচ্ছি। এবার সরকারি দায়িত্ব আমাদের কাছে আসার পরে আক্রমণের হার আগের যেকোনো সময়কে ছাড়িয়ে গেছে। অপপ্রচার ও নোংরা আক্রমণের শিকার হয়ে অবশেষে নগদ কর্তৃপক্ষ আইনের আশ্রয় নিয়েছে। নানা তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষতেই মামলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বিভিন্ন সরকারি ভাতা বিতরণের বিপক্ষে ভিত্তিহীন অপপ্রচারের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও নানাভাবে ফেসবুক এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে চক্রটি। এমনকি নগদের সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রচেষ্টায় তারা লিফলেট বিতরণ করে। তখনো সুনির্দিষ্ট কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নগদ আদালতে মামলা করে এবং আদালতের নির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বিদেশি মালিকানায় থাকা একটি মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু কর্মকর্তার নাম চলে আসে। বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন।