এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার ৩ খাবার

প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক রিপোর্টঃ 
গরমে নিজেকে ঠান্ডা রাখতে আমরা অনেকেই হিমশিম খাই। গরম আর ঘাম মিলিয়ে আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলো ঠিকভাবে করাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনার থাকলেও তাতে সারাক্ষণ বসে থাকা নিশ্চয়ই সম্ভব নয়? এমনকী তা স্বাস্থ্যকরও নয়। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর তিনটি খাবার সম্পর্কে বলেছেন, যা আপনাকে এই গরমে শীতল অনুভব করতে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে খাবারগুলো নিয়মিত খেলে তা অ্যাসিডিটি, পেটফাঁপা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, বদহজম, নিদ্রাহীনতা এবং ক্ষুধা হ্রাস রোধ করতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. সকাল ও দুপুরের খাবারের মাঝখানে একটি মৌসুমী ফল- আপনার খাদ্যতালিকায় একটি মৌসুমী ফল যোগ করুন, বিশেষ করে আপনার এলাকায় যে ফলটি বেশি হয় এবং যার স্থানীয় ভাষায় একটি নাম রয়েছে এরকম ফল। গ্রীষ্ম তো ফলেরই মৌসুম। এসময় আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু, তরমুজ, ফুটির মতো ফল তো পাওয়া যায়ই, সেইসঙ্গে একটু কম পরিচিতও দেশীয় অনেক ফল পাওয়া যায়। আপনার খাবারের তালিকায় সেগুলো যোগ করুন। এসময় জামের মতো ফল আপনাকে অনেক বেশি শীতল থাকতে সাহায্য করবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফলের একটি মিষ্টি গন্ধ আছে এবং বেশ রসালোও। নিয়মিত এই জাতীয় ফল খেলে তা আপনার অন্ত্র এবং মনকে ঠান্ডা এবং শান্ত রাখতে সহায়তা করবে।

২. দুপুরের খাবারে দই-ভাত- গরমের কারণে অনেকেরই দুপুরের খাবারের ক্ষুধা কমে যায়। গরমের সময়ে রান্নাঘরে রান্না করাও সহজ নয়। পুষ্টিবিদ সকালের নাস্তা তৈরির সময় ভাত রান্না করার পরামর্শ দেন। দুপুরের খাবারের সময় এই ভাত ঠান্ডা হয়ে যাবে। তারপর দুপুরের খাবারের সময় সেই ভাতের সঙ্গে দই মিশিয়ে নিন। স্বাদ বাড়াতে সামান্য লবণ যোগ করুন। পুষ্টিবিদ রুজুতা ব্যাখ্যা করেন, দই-ভাত হলো প্রিবায়োটিক এবং প্রোবায়োটিকের একটি ভালো মিশ্রণ। এটি আপনার অন্ত্রকে লাইন করে দেবে, অন্ত্রের শ্লেষ্মাকে বৃদ্ধি পেতে দেবে, আপনি ভালো বোধ করবেন, ক্ষুধা ফিরে আসবে এবং আপনার ক্লান্তি বা বিরক্তি থাকবে না। এই খাবারের সঙ্গে আচারও যোগ করতে পারেন।

৩. শোবার সময় গুলকন্দ- এটি এমন কিছু যা আপনাকে অ্যাসিডিটি কমাতে, ঘুমের গুণমান উন্নত করতে, পেট ঠান্ডা রাখতে, পায়ে ব্যথা কমাতে, চোখের ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করবে। এক চা চামচ গুলকন্দ পানিতে মিশিয়ে রাতের খাবারের পর বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুমুক দিন। পানীয়টি দেখতে খুব ভালো নাও হতে পারে তবে এটি সুস্বাদু এবং এর একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি পান করলে আপনি আরাম অনুভব করবেন এবং ঘুমও ভালো হবে। গোলাপের আশ্চর্যজনক সুগন্ধ আপনাকে শিথিল করতে সাহায্য করবে। পানীয় শেষ করার পরে গোলাপের পাপড়ি চিবিয়ে খেতে ভুলবেন না যেন!