এক সপ্তাহ আগে পরিকল্পনা, দ্বিতীয় চেষ্টায় হত্যা

অটোরিকশাচালক আলেফ উদ্দিনকে হত্যা

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২৪

রংপুর প্রতিনিধি:

রংপুর নগরীর পরশুরাম থানার চিলের ঝাড় নামক স্থানে অটোরিকশাচালক আলেফ উদ্দিনকে হত্যার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামিসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান।

তিনি জানান, শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পরশুরাম থানা এলাকার চিলার ঝাড় নামক স্থানে কৃষক আখতারুজ্জামানের জমি থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলাকেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পরশুরাম থানায় একটি হত্যা মামলা করে।

কমিশনার মনিরুজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে খুনিদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরশুরাম থানার ওসি হোসেন আলী মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবু সাইদ মন্ডল, এসআই সহিদুল ইসলাম, এসআই রশিক কুমারসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরশুরাম থানার কোবারু ডাক্তার পাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সম্রাট, বকুল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি রক্তমাখা দেশীয় তৈরি লোহার দা (যা বাটসহ দৈর্ঘ্য ১৩ ইঞ্চি) এবং ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি গঙ্গাচড়া উপজেলার সলেয়াশাহ গ্রামের ইউসুফ আলীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কমিশনার জানান, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত এক সপ্তাহ আগে তারা আলেফ উদ্দিনকে হত্যা করে তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। সে জন্য রংপুর সদর থানার লাহিড়ির হাটে অটোরিকশাসহ নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে আলেফ উদ্দিনকে হত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর আবারও গত বুধবার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পর দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানাধীন ধাপ মেডিকেল এলাকায় বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রের কাছে আলেফ উদ্দিনকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাত অনুমান সাড়ে ১০টায় পরশুরাম থানার বুড়াইল বাজার চিলারঝাড় গ্রামের রাস্তায় নিয়ে গিয়ে প্রথমে গলাকেটে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে অটো রিকশা নিয়ে চলে যায়। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হবে।