এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর বিরোধ, দ্বিতীয় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর বিরোধের জেরে দ্বিতীয় স্বামী আকবার খরাতী (৪৫) নামের একজনকে কুঁপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বরের বিরুদ্ধে। রোববার দুপুরে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শেরকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, আকবরের মৃত্যুর খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
নিহত আকবার খরাতী পৌরসভার হাজরাহাটি গ্রামের কলম ফরাজীর ছেলে। তিনি খাড়াকান্দী গ্রামে শশুরবাড়িতে থাকতেন। অভিযুক্ত রমজান মাতুব্বর পৌরসভার ১নং ওয়র্ডের খাড়াকান্দী গ্রামের সোনামিয়া মাতুব্বর ওরফে সোনা পাগলার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে একই গ্রামের প্রতিবেশী ও সম্পর্কে চাচাতো বোন আসমার সঙ্গে বিয়ে হয় রমজানের। তারপর ৭-৮ বছর পর উভয়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর প্রায় ১০ বছর গ্রামের বাইরে অন্যত্র কাটায় রমজান। পরে ওই একই গ্রামের আকবর খরাতীর সঙ্গে পুনারায় দ্বিতীয় বিয়ে হয় আসমা বেগমের। আকবর তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে শশুরবাড়িতে একটি মুদি দোকান ও কৃষি কাজ করে সুখেই দিনযাপন করছিলেন। গত ২ বছর আগে রমজান গ্রামে ফিরে আসলে পুনরায় আসমা বেগম তার দ্বিতীয় স্বামীকে ছেড়ে প্রথম স্বামী রমজানের কাছে চলে আসেন। এর কিছুদিন পর প্রথম স্বামীর সঙ্গে আবারও বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর ঘর করতে থাকেন আসমা।
স্থানীয়রা জানায়, আসমাকে নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস হয়েছিল। কিন্তু, দুই স্বামী ও একজন স্ত্রীকে নিয়ে বিরোধটির সমাধান করা যায়নি। সেই জেরেই রোববার দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ রমজান আকবরের দোকানে গিয়ে ধারলো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। আসমার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা গুরতর আহত অবস্থায় আকবরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয় আকবারকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে মারা যান আকবার।
১নং ওয়ার্ডের কমিশনার মো. আইয়ুব আলী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত সর্বোচ্চ বিচার করতে হবে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোকছেদ রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের তদন্তকার্য চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রকৃয়াধীন।