এখনো কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ, দাম কমলেও নেই ক্রেতা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
হাবিবা ইসলাম
রমজান এলে অন্যান্য ফলের সঙ্গে তরমুজের চাহিদাও বেড়ে যায় এবং বিক্রেতাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা যায়। এবারও রমজানে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। ক্রেতাদের সম্মিলিত বয়কটের ডাকে বাজারে তরমুজ ক্রেতা কমে গেছে।সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে এ চিত্র চোখে পড়েছে।
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশে মোট ৯১ হাজার ৭৫৯ হেক্টর জমিতে মোট ৩৬ লাখ ৩ হাজার ৬৬৬ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। বরাবরের মতো বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় ৬৪ হাজার ২১৬ হেক্টর জমিতে ২৭ লাখ ২৪ হাজার ২৪১ মেট্রিক টন তরমুজ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক কৃষি সরকার কর্তৃপক্ষের মতে, বরিশালে এ বছর এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬১৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে এবং আরও চাষাবাদ চলছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, যা ৪-৫ দিন আগে ৬০-৭০ টাকা ছিল। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি তরমুজ ৯০ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছিল। রাজধানীর কাওরান বাজারের পাইকারি বাজারে দেখা যায়, প্রতি ১০০ পিস বড় সাইজের সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ৩২০ টাকায় এবং ছোট সাইজের ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারে খুচরা দোকানীরা আকার ভেদে ১৫০-২০০ টাকা ধরে প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি করছেন। কিন্তু কাওরান বাজারের দক্ষিণে গেলে উল্টো চিত্র দেখা যায়। যেখানে তরমুজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারের দুই চিত্র। ধানমণ্ডির শুক্রাবাদ কাঁচা বাজারে প্রতি পিস বড় সাইজের ৩০০ টাকা থেকে ছোট সাইজের ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রায়ের বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তারা বলেন, ‘এরকম চলতে থাকলে খাওয়া বাদ দিতে হবে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে আরও সোচ্চার হওয়া উচিত।’জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, ‘যেখানে পিস হিসেবে বিক্রি হয় সেখান থেকে তরমুজ কিনবেন, কেজি দরে কিনবেন না।’এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান চলমান আছে।’