নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির পাশে আর কেউ থাকবে না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পশ্চিমাদের প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, এখন দেখি কে আপনাদের পেছনে দাড়াঁয়? পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে? কিন্তু কাল থেকে কাউকে আর পাবেন না। দুর্বলের পক্ষে কেউ থাকে না। এত দুর্বল!
আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
বিএনপি মাঠ ছেড়ে পালিয়েছে, এমন অভিযোগ করে কাদের বলেন, দুপুর বেলা পর্যন্ত মরণকামড়। তারপর দেখি সব ফাঁকা। এদিকে তাকায়, ওদিকে তাকায়। নেতারা পালায়। পিছে পিছে কর্মীরাও পালিয়ে গেল। অলিগলি দিয়ে পালালো। হায়রে বড় বড় কথা! বিএনপি কোথায়? কোথায় মির্জা ফখরুল? মহাযাত্রা এখন মহাপতনযাত্রা। বিএনপির মহাযাত্রা এখন মরণযাত্রা।
জামাতের সঙ্গে বিএনপির খুব ভাব দাবি করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, জামায়াতকে বলছে ওখানে বসো। কিছুক্ষণ লাফালাফি করে জামায়াতও স্থান ত্যাগ করলো। আমরা আছি। আমরা থাকবো। শেখ হাসিনার কর্মীরা মাঠে ছিল, মাঠে আছে, মাঠে থাকবে।
তিনি বলেন, খেলা হবে। এদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সেমিফাইনাল সামনে। সেমিফাইনাল। তারপর ফাইনাল। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা। সামনে এই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে খেলার মতো খেলতে হবে। এদের শিক্ষা দিতে দিয়ে হবে। সন্ত্রাসী, মিথ্যাচার, নোংরামি এই অপরাধীদের ইতিহাস যেটা আজ সেটা করেছে। এদের স্বভাব আজ আয়নার মতো পরিষ্কার। এদের আর ক্ষমা করা যায় না। এদের বাড়াবাড়ির জবাব আমরা দেবো। এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলবো। পাল্টা জবাব গড়ে তুলবো। এদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ক্ষমা নেই।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হামলা ও পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে কাদের বলেন, বিএনপিকে জবাব দিতে হবে কেন আজ প্রধান বিচারপতির বাড়িতে কারা হামলা চালিয়েছে? এদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। পুলিশের গায়ে যারা হাত তুলেছে। একজন পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে কী করেছেন আমরা আজ দেখলাম। বিএনপি নোংরা-খুনি-সন্ত্রাসী দল। পুরনো আগুনসন্ত্রাসের চেহারা আজ তারা জাতির সামনে তুলে ধরেছে।
বিএনপির হামলার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম থেকে দ্রুত ঢাকা ফেরার প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, নেত্রী দুপুরের খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ঢাকার খবর পেয়েই তিনি হেলিকপ্টারে উঠেছেন। দুপুরের খাবার গ্রহণ করেননি। কারণ তার টেনশন আমাদের চেয়ে বেশি। কিন্তু তার কথাবার্তার সূর ছিল অন্য রকম। তিনি বললেন দেখবো। দেখবো ওরা কী করে? এসব বাড়াবাড়ি, নোংরামি, আজকের খুনোখুনি, অস্ত্রবাজি-আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলা মাটিতে অবশ্যই শাস্তি হবে। এদের অপরাধের বিচার হবে।
তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। আমাদের কর্মীদের গাড়িতে হামলা করে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করে। এসব অপরাধের পর কোনও ছাড় নেই।
বিএনপির হরতালের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানবে না। হরতাল হলো ভোঁতা অস্ত্র। এই অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। ওই ভোঁতা অস্ত্রে কাজ হবে না। আমরা আবারও শান্তির পথে। আগামীকাল মহানগর, থানা, জেলা, উপজেলা, সারা বাংলাদেশে শান্তি সমাবেশ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা শান্তির পক্ষে। সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমরা রক্তপাতের বিরুদ্ধে শান্তি চাই। আমরা নির্বাচনের আগে শান্তি চাই। নির্বাচনের সময় শান্তি চাই। নির্বাচনের পরেও শান্তি চাই।