এনআইডি অন্য মন্ত্রণালয়ে যাওয়া সাংঘর্ষিক : ইসি সানাউল্লাহ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) নির্বাচন কমিশনের অধীন থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ে যাওয়া সাংঘর্ষিক হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। সাংবিধানিকভাবে এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার। কমিশন সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। সভায় অন্যান্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
এনআইডি স্থানান্তর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেওয়া আছে তার সঙ্গে এনআইডি অন্য মন্ত্রণালয়ে যাওয়া সাংঘর্ষিক। সাংঘর্ষিক এই জন্য যে, সংবিধান আমাদের বলে দিয়েছে নির্বাচন, ভোটার তালিকা প্রস্তুত, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আপানারা জানেন, ২০০৭ সাল থেকে নির্বাচন কমিশন নিজেরাই এই ডাটা ডেভলপ করেছে। এই ডাটাবেজ থেকে দুটি জিনিস প্রডিউস হয়, একটা ভোটার তালিকা অন্যটি এনআইডি। শুধু প্রিন্ট করার জন্য এই ডাটাবেজের ওপর ভিত্তি করে এনআইডি প্রিন্ট করার জন্য অন্য কোথাও যাক এটা যৌক্তিক নয়। আমরা আমাদের জনবল তৈরি করেছি, প্রশিক্ষণ করিয়েছি এবং কর্মকর্তাদের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে মাঠ পর্যায়ে। এনআইডি অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া সঙ্গত হবে না। যে ডাটাবেজ, এটা আমাদের নিজস্বই থাকতে হবে। এই প্রাইমারি ডাটা আমরা অন্য কোথাও হস্তান্তর করতে পারবো না।
তিনি বলেন, ইভিএম প্রকল্প টেকওভার করা হয়নি। ইভিএম কি হবে জানি না। বর্তমান মেশিন বুঝে নেবো ও রক্ষণাবেক্ষণ করবো। ইভিএম প্রকল্প গত জুন মাসে শেষ হলেও ইভিএম পুরোপুরি টেকওভার করা হয়নি। প্রশিক্ষণ অংশটুকু বাকি ছিল, যা এই সপ্তাহে শেষ হয়েছে। এমন অবস্থা ইভিএম এর ভবিষ্যৎ কি হবে আমাদের জানা নেই। তবে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে এটার বিষয়ে কিছু আসতে পারে। সে যাই আসুক না কেন, বর্তমানে যে মেশিনগুলো আছে তা রক্ষণাবেক্ষণ ও বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। জরুরি ভিত্তিতে আমরা এটার দায় দায়িত্ব বুঝে নেবো। এগুলো সংরক্ষণ করবো, পরে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা করবো।