এনআইডি নিয়ে কর্মসূচিতে যাচ্ছে ইসি কর্মকর্তারা

প্রকাশিত: ২:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) সরাতে তৈরি করা হচ্ছে সিভিল রেজিস্ট্রেশন নামে আলাদা কমিশন। অর্থাৎ বর্তমান সরকারও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে এনআইডি রাখতে চায় না বলে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। সরকারের এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করে কর্মসূচিতে যাচ্ছে ইসি কর্মকর্তারা।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) সরাতে তৈরি করা হচ্ছে সিভিল রেজিস্ট্রেশন নামে আলাদা কমিশন। অর্থাৎ বর্তমান সরকারও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে এনআইডি রাখতে চায় না বলে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। সরকারের এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করে কর্মসূচিতে যাচ্ছে ইসি কর্মকর্তারা।

‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন (কমিশন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা করে গত ৩ মার্চ।
উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনায় বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রণয়ন সময়োপযোগী। তবে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন না রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা সমীচীন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্মনিবন্ধন সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে এনআইডি এবং এনআইডির ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় অনাবশ্যক জটিলতা এবং জনদুর্ভোগ পরিহার করা আবশ্যক। এই উদ্দেশ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ পরিমার্জন করে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করতে পারে।