এন্ড্রু কিশোরের যে ইচ্ছেটি পূরণ হয়নি আজও

প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক:

‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী এন্ড্রু কিশোর তার পৈতৃক ভিটা কোটালিপাড়ায় একটি প্রার্থনা কুঞ্জ করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। তার শেষ ইচ্ছে আর পূরণ হয়নি।

২০২০ সালের ৬ জুলাই পরপারে পাড়ি জমান এই কিংবদন্তি শিল্পী। সোমবার (৪ নভেম্বর) এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিন। ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বেঁচে থাকলে আজ ৬৯ বছর বয়স পূর্ণ করতেন এই বরেণ্য শিল্পী।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এন্ড্রু কিশোর সস্ত্রীক কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের চিথলীয়া গ্রামের পৈতৃক ভিটায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি তার পৈতৃক ভিটায় একটি ‘প্রার্থনা কুঞ্জ’ করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার কাকাতো ভাই পূর্ণদান বাড়ৈ।

পূর্ণদান বাড়ৈ বলেন, এন্ড্রু কিশোর আমার কাকাতো ভাই। তার পিতার নাম ক্ষিতিশ বাড়ৈ। এন্ড্রু কিশোররা ছিলেন ৩ ভাই-বোন। ৩ ভাই-বোনের মধ্যে এন্ড্রু কিশোর ছিল ছোট। তার বড় ভাইয়ের নাম স্বপন বাড়ৈ। বোন শিখা বাড়ৈ। আমার কাকা ক্ষিতিশ বাড়ৈর কর্মস্থল ছিল রাজশাহী। তিনি ওখানে চিকিৎসা পেশায় জড়িত ছিলেন। ওখানেই এন্ড্রু কিশোরের জন্ম। তবে তার বাবার জন্ম কোটালীপাড়ায়।
তিনি জানান, এন্ডু কিশোরের পিতা ক্ষিতিশ বাড়ৈ বরিশালে লেখাপড়া করেছেন। এর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারী পাস করে রাজশাহীতে কর্মজীবন শুরু করেন। তবে তিনি তার পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রতিবছরই কোটালীপাড়ায় বেড়াতে আসতেন।

সে সময় ওই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান জানিয়েছিলেন, দেশের এই মহান সংগীত শিল্পীর পৈতৃক ভিটা কোটালীপাড়া। এটা সত্যিই কোটালীপাড়াবাসীর জন্য গর্বের। আমরা এই গুণী শিল্পীর স্মৃতি রক্ষার্থে কোটালীপাড়ায় একটি সংগীত একাডেমি বা সংগীত স্কুল স্থাপনের জন্য চেষ্টা করা হবে।