চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
আরেক দফায় সবজি ট্রেন নামে বিশেষ ট্রেন চালিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহের মতো এবারও ব্যর্থ হয়েছে এ কর্মসূচি। সরকারি পরিবহনটির কোনো সুবিধাই পাননি উত্তরাঞ্চলের কৃষক। গতকাল শনিবারও ট্রেনটি সকালে ছাড়ায় শাকসবজি পরিবহন করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কোনো পণ্য ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে বিশেষ ট্রেনটি। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জেলার রহনপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে গাড়িটি। এর আগে গত শুক্রবার দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও একই ঘটনা ঘটে।
কৃষকরা বলছেন, সাধারণত সারাদিন শাকসবজি ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করে বিকেলে বা সন্ধ্যায় গাড়িতে তুলে সেগুলো ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু ট্রেন আসে সকালে, তাহলে পণ্য পরিবহনের সুযোগ কোথায়? এ ছাড়া ট্রেনে সবজি পরিবহনে ভাড়া কম হলেও অসময়ে ট্রেন ছাড়া, স্টেশনে ওঠানামা ও স্টেশন থেকে বাজারে সবজি নিতে সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সড়কপথে যে খরচ পড়ে তার থেকে ট্রেনে খরচ বেশি। আবার শাকসবজিপ্রধান এলাকায় নেই রেলস্টেশন। এ কারণে দূরের স্টেশনে পরিবহনে ব্যয় হয় বাড়তি টাকা।
রহনপুর এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, পিকআপের থেকে ট্রেনের ভাড়া কম। তবে ট্রেনে পরিবহন করতে এই ভাড়ার পাশাপাশি কুলি খরচ, ফসলের মাঠ থেকে স্টেশন এবং স্টেশন থেকে মোকামের আলাদা পরিবহনে খরচ পড়ে যাচ্ছে কেজিপ্রতি ৩ টাকার বেশি। অথচ সড়ক পথে ট্রাকে পণ্য পরিবহন করতে তাদের খরচ হয় কেজিপ্রতি দুই থেকে আড়াই টাকা।
রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশনমাস্টার মামুনুর রশীদ বলেন, রাতে পণ্যবাহী স্পেশাল ট্রেনটি রহনপুর স্টেশনে এসেছিল।
সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কোনো কৃষিপণ্য ছাড়াই ট্রেনটি ছেড়ে গেছে।
ধোঁকা খেয়েছেন রাজশাহীর কৃষকরাও। প্রথম দিন গতকাল সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে কৃষিপণ্য (সবজি) ছাড়াই রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। অসময়ে গাড়িটি স্টেশনে আসায় শাকসবজি দিতে পারেননি কোনো কৃষক।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, রেলওয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় ঢাকায় একটি ট্রেন প্রবেশের জন্য যে ফাঁকা শিডিউল বের করা হয়েছে, সে সময় অনুযায়ী গাড়িটি দেওয়া হয়েছে। কৃষক চাইলেও রাতে দেওয়া সম্ভব হবে না। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।