ক্রীড়া ডেস্ক:
হকির নিবেদিত প্রাণ ফজলু ইসলাম। ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত ফজলু ওস্তাদ নামে। বাকিটা আর বলার প্রয়োজন হয় না। ছোটদেরকে ডেকে নিয়ে হকি খেলায় লাগিয়ে দেওয়ার মানুষ তিনি।
খেলো হকি, প্রাণ আনো হকিতে। ফুটবল একাডেমি গড়তে গিয়ে জীবন শেষ হয়ে যায়। আর হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যে সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে হকি একাডেমি গড়েছিলেন ওস্তাদ ফজলু। অমায়িক একজন মানুষ ছিলেন। আচমকা গত ৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার রেখে যাওয়া হকি একাডেমি বন্ধ হয়ে গেলে সুন্দর স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে। এগিয়ে এলেন অন্যরা।
আবার চালু হয়ে গেল ওস্তাদ ফজলু হকি একাডেমি। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক হকি খেলোয়াড় হোসেন ইমাম চৌধুরী সান্টা ও জামাল হায়দার, সাবেক খেলোয়াড় দোলন শেখ, কামরুল ইসলাম কিসমত, মাকসুদুল আলম হাবুল, আম্পায়ার লিটন, সেলিম লাকি, সংগঠক হাজী মনোয়ার প্রমুখ সবাই পুরান ঢাকার আরমানীটোলার এই হকি একাডেমিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এগিয়ে এসেছেন।
আম্পায়ার সেলিম লাকি বলেন, অনেকের ধারণা ছিল ওস্তাদ ফজলু মারা যাওয়ার পর তার হকি একাডেমি বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা চালু রাখার চেষ্টা করেছি। এটা থেমে থাকেনি। নতুন পথচলা বলা যায়। এখন একাডেমিতে ক্লাস ওয়ান থেকে সপ্তম অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রয়েছেন। সব মিলিয়ে ৮০ জনের ওপরে প্রশিক্ষণার্থী। ৯-১৭ অক্টোবর তৃণমূল পর্যায়ে হকি প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়া ৬৫ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ শেষে সনদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আম্পায়ার সেলিম
প্রশিক্ষণের জন্য এর মধ্যে হোসেন ইমাম চৌধুরী সান্টা দিয়েছেন ২০টি হকি স্টিক, ১২টি বল, ইতালি প্রবাসী হকি খেলোয়াড় ইকবাল হোসেন খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য ১০০টি বিপ দেবেন, ৬০টি এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে, আরমানীটোলা স্কুল থেকেও সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান সেলিম লাকি।
সংবাদ মাধ্যমকে সান্টা জানিয়েছেন, আমরা যতটুকু পারি পাশে থাকব। আমরা একটা মিটিং করেছি, এটাকে (একাডেমি) ধরে রাখতে হবে।
জলভেজা চোখে জামাল হায়দার বলেন, আমার যতদিন নিশ্বাস আছে, আমি এদেরকে ধরে রাখব। সেলিম লাকি বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে অনুরোধ করলেন।