করোনাভাইরাস চিকিৎসায় এন্টিভাইরাল ড্রাগের পরীক্ষা চালিয়েছে মার্কিন বায়ো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি গিলিয়েড সায়েন্সেস। কোম্পানিটি চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তৃতীয় পর্যায়ের ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় মানুষের শরীরে কার্যকরী রেমডিসিভির নামে এন্টি ভাইরাল ড্রাগের পরীক্ষা চালায়।
প্রকৃতপক্ষে কোম্পানিটি এবোলা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য এন্টিভাইরালটি তৈরি করেছিল; তবে ওই ভাইরাসের জন্য এটি কার্যকরী ছিল না। তবে এর (রেমডেসিভির) পূর্বপরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে নতুন করোনাভাইরাস চিকিৎসায় এটি কার্যকরী হতে পারে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে (এনইজেএম) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, উহান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক মার্কিন নাগরিকের শরীরে ড্রাগটি প্রয়োগ করা হয়; তখন এটি উৎসাহজনক ফলাফল দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগীদের অসুস্থতার সাতদিন সহানুভূতির সঙ্গে রেমডেসিভির প্রয়োগ করা হয় এবং অষ্টম দিনে তাদের অবস্থার উন্নতি হয়।
চীনের বেইজিংয়ে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে গিলিয়েডস এ ওষুধটির তৃতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা চালাবে। পরীক্ষাটির জন্য করোনাভাইরাসের প্রভাবে হালকা ও মাঝারি ধরনের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ২৭০ জনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
গিলিয়েড বলছে, করোনাভাইরাসের নমুনার বিরুদ্ধে চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে দ্রুত পরীক্ষাগারে রেমডেসিভিরের পরীক্ষা চালানো হবে।
কোম্পানিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেমডেসিভিরের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ক্রিয়া জানাতে গিলিয়েড ও বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিরভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, রেমডেসিভির এখনো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমতিপ্রাপ্ত নয়। বিবৃতিতে তারা জানায়, এটি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যাপারে আশাবাদী।
প্রাণিদের ইন-ভিট্রো ও ইন-ভিভো মডেল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে থাকা এমআরএস ও এসএআরএস সিনড্রোমের বিরুদ্ধে কাজ করেছে যা করোনাভাইরাসের কাঠামোগত ভাইরাল প্যাথোজেনের মিল রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উহান করোনভাইরাসটির বর্তমানে নিরাময় বা নির্দিষ্ট চিকিত্সার অভাব রয়েছে। গিলিয়েডের এ ওষুধটি প্রথম মানবদেহে ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। সূত্র: ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অ্যারিনা