এসএম দেলোয়ার হোসেন
এবার করোনার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে। সময়ের ব্যবধানে কমছে লাশ দাফনের সংখ্যাও। গড়ে প্রতিমাসে যেখানে ৭শ থেকে ৮শ লাশ দাফন করা হয়, সেখানে গত মার্চ মাসে কমে ৬শ’র ঘরে নেমে এসেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পেশাগত দায়িত্ব পালনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে দৈনন্দিন কাজ করছেন আজিমপুর কবরস্থানে কর্মরত অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গোরখোদকরা। করোনার প্রভাবে আগের মত কবর জিয়ারত করতেও আসছেন না মৃত ব্যক্তির স্বজন-পরিবারের সদস্যরা। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে মৃত্যুর সনদপত্র ছাড়াই আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হচ্ছে ঢামেকে মারা যাওয়া শিশুর মরদেহ। রোববার আজিমপুর কবরস্থান ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২৭ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয় মুসলিমদের সমাধিস্থল আজিমপুর কবরস্থান। সপ্তদশ শতাব্দীতে ঢাকা শহরের পত্তনের সময়ে এই গোরস্থানের সূচনা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। এটি পুরান ঢাকার লালবাগ থানার অন্তর্গত। এই কবরস্থানে লাশ দাফন ছাড়াও মরদেহ ধোয়ানো এবং জানাযা পড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পেরেশান এই গোরস্থানের ব্যবস্থানার দায়িত্বে নিয়োজিত।
ডিএসসিসি সূত্র জানায়, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে লাশ দাফনের জন্য বর্তমানে মৃতের স্বজনদের কোন অর্থ খরচ করতে হয় না। বর্তমানে যে কারও লাশ দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় কাফনের কাপড়, সাবান, লোবান, বাঁশ, চাটাই ও কবর খোদাই করাসহ সব খরচ ডিএসসিসির নিজস্ব ফান্ড থেকে বহন করা হয়। ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এ কবরস্থানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লাশ দাফন করা হচ্ছে।
এদিকে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আজিমপুর পুরাতন কবরস্থান সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় কবরস্থানজুড়েই চলছে শূনশান নিরবতা। নেই মুসুল্লীদের পদচারণা। রোববার ভর দুপুরে যে যার অবস্থান থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে অলস সময় কাটাচ্ছেন গোরখোদকরা। দু’একটি কবর ছাড়া কোন কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কাউকে জিয়ারত করতেও দেখা যায়নি। যে কারো দেখে মনে হবে- ‘এবার করোনার প্রভাব পড়েছে আজিমপুর কবরস্থানেও’। লাশ দাফনের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। তবে দুর-দুরান্ত থেকে যেসব লাশ দাফন করতে আজিমপুর কবরস্থানে আনা হচ্ছে, তাতে মরদেহের স্বজন-পরিবারের সংখ্যাও হাতেগোণা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গোরখোদক জানান, করোনার কারনে স্বজন-পরিবারের কবর জিয়ারত করতে আসা মুসুল্লীদের আনাগোনাও অনেক কমে গেছে। শুধুমাত্র শুক্রবার ফজরের পর ভোরের দিকে ও জুম্মার দিন কিছু মুসুল্লী দেখা যায়। তাও আগের মত নয়। লাশ দাফনের সংখ্যা ক্রমেই কমতে শুরু করেছে। তাদের ধারণা, সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার ফলে ইতোমধ্যেই রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে। ফলে জনশূন্য ঢাকায় এখন ভূঁতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে। ভয়ে অনেকেই ঘর থেকে প্রয়োজন ছাড়া বেরও হচ্ছে না। এছাড়া মৃত্যুর সংখ্যা কমে যাওয়ায় কবরস্থানে লাশ দাফনের সংখ্যা ও কবর জিয়ারত করতে আসা মুসুল্লীদের পদচারণা অনেকটাই কমে গেছে বলে মনে করছেন গোরখোদকরা।
এসব বিষয়ে জানতে আজিমপুর কবরস্থানে যোগাযোগ করা হলে অফিসের মোহরার মো. নূরুল হুদা জানান, লাশ দাফনের জন্য প্রতিদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আজিমপুর কবরস্থানে আনা হয়। গড়ে প্রতিমাসে ৭শ থেকে ৮ শতাধিক লাশ দাফন করা হয় এই কবরস্থানে। চলতি বছরের গত ৩ মাসে এ পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ২ হাজার ২৬০টি লাশ দাফন করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৮১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৭৯০ জন ও মার্চ মাসে ৬৬০ জনের লাশ মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করেই দাফন করা হয়েছে।
মোহারার নূরুল হুদা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে লাশ দাফনের সংখ্যা অনেক কমেছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া এক বৃদ্ধের মরহেদ গত ১৮ মার্চ রাত ১০টার দিকে দাফন করা হয়। এ পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া একজনকেই দাফন করা হয়েছে এই কবরস্থানে। তিনি জানান, করোনায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তিকে জানাযা ছাড়াই দাফন করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে তথ্য জানানো হয়েছে, তা সঠিক নয়। তিনি জানান, ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় লাশটি আজিমপুর কবরস্থানে আনার পর লাশ বহনকারীদের কাছে তারা জানতে চান, গোসল করানো এবং জানাযা দেওয়া হয়েছে কিনা ? লাশ বহনকারীরা গোসল করানো হয়েছে বলে জানানোর পর তারা রাত পৌনে ১০টার দিকে আজিমপুর কবরস্থানে সংরক্ষিত জানাযা ঘরে সেই লাশ নিয়ে যান। সেখানে তিনিসহ কবরস্থানে কর্তব্যরত ৬ জন এবং বহনকারী এক আত্মীয়সহ সর্বমোট ৭ জন মিলে জানাযা পড়ানো হয়। এর পর ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে রাত ১০টার দিকে সেই বৃদ্ধের মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিএসসিসি’র নিয়োজিত আজিমপুর কবরস্থানের সিনিয়র মোহরার, মোহরার ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২৭ জন স্টাফ কাজ করেন আজিমপুর কবরস্থানে। এছাড়া ঠিকাদারের মাধ্যমে আরও ৩২ জন কর্মচারী প্রতিনিয়ত কাজ করছেন এখানে। তবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে দৈনন্দিন কাজ করছেন আজিমপুর কবরস্থানে কর্মরত অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গোরখোদকরা। এ জন্য সবাই যার যার কাজের সময় হ্যান্ডগ্লাভস, মাস্ক ও পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন। করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে সবাই দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান তিনি।
মোহরার নূরুল হুদা জানান, প্রতিদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোন না কোন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন রকম মৃত্যুর সনদ না দিয়েই হাতে লেখা একটি চিরকুট ধরিয়ে সেই মৃতদেহগুলো শিশুর স্বজন-পরিবারের নিকট দিয়ে দিচ্ছে। এরপর সেই শিশুর মরদেহ দাফনের জন্য আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে আনা হচ্ছে। এসব মৃতদেহের যথাযথ প্রক্রিয়ায় মৃত্যুর সনদপত্র ও ছাড়পত্র না থাকায় প্রায়ই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন তারা। তবে মানবিক বিবেচনায় স্বজন-পরিবারের অনুরোধে তারা সেই শিশুর মরদেহ দাফন করছেন আজিমপুর কবরস্থানে। এসব মৃতদেহের পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট না থাকায়ও তারা অজানা শঙ্কায় রয়েছেন। তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল থেকে সীলমোহর ছাড়াই হাতে লেখা সনদ দিয়ে গড়ে প্রতিদিন অন্তত ২টি শিশুর মরদেহ দাফনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে আনা হচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলের প্রশাসনিক বিভাগে যোগযোগ করা হলে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনিক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, মৃত্যুর সনদপত্র ছাড়া কোন শিশু এমনকি অন্য কোন লাশ দেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২০৬টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় পৌনে ৬৫ হাজার জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। এদের মধ্যে আরও একজন মারা গেছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। আজ রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান। ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ব্রিফিংয়ে সংক্ষেপে গত ২৪ ঘণ্টার চিত্র তুলে ধরার পর সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন।
ব্রিফিংয়ে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ১৩ জন শনাক্ত হয়েছেন আইইডিসিআরে, বাকি পাঁচজন ঢাকার বাইরের ল্যাবে শনাক্ত। আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, পাঁচজন নারী। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন মারা গেছেন, তার বয়স ৫৫ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং ৯ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ১২ হাজার ৬৬৯ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে এবং ৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪০০ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হলেও তাদের মধ্যে ৩৩৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এদিকে বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ১ হাজার ৯৩৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪ হাজার ৭২০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৪ জন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ৩৫৭। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৪৫২ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয়স্থানে স্পেন। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ১৬৮ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৯৪৭ জন। মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। সেখানে মারা গেছেন ১৫ হাজার ৩৬২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৬৩২ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে জার্মানি ও ফ্রান্স। আক্রান্তের সংখ্যা হিসাবে শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে নেই চীন। এই সংখ্যার হিসাবে তাদের অবস্থান এখন ৬-এ।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে তৃতীয় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। রোববার (৫ এপ্রিল) জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথম দফায় গত ২৬ মার্চ থেকে গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর দ্বিতীয় দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সর্বশেষ তৃতীয় দফায় আজ রোববার সেই ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলো সরকার। তবে ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশেও নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন সরকার প্রধান। অপরদিকে করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলার সকল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা থেকে কাউকে বের হতে কিংবা আসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিষয়টি শিথিলতা থাকছে। রোববার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া এন্ড পাবলিকেশন্স থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। সূত্র- ঢাকা প্রতিদিন।