প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরও ১৮২ জন।
দেশে করোনায় একদিনে শনাক্তের এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু হলো ৩৯ জনের। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮০৩ জনে।
এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৪২ জন।
সোমবার বেলা আড়াইটার পর অনলাইনে লাইভ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও তিনজন।
জাহিদ মালেক বলেন, ইতিমধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। এ জন্য সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে ঘরে অবস্থানের বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, নতুন তিনটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরি হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে– বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, নর্থ সিটি কর্পোরেশনের পুরনো ভবন ও দিয়াবাড়িতে পুরনো ভবন।
নতুন হাসপাতাল নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে বেসরকারি হাসপাতাল তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালে লাখ লাখ লোকের চিকিৎসা কোনো দেশ দিতে পারে না।
তিনি বলেন, গতদিনের চেয়ে ৩৮ শতাংশ বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ শতাংশ বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৬৮৪ জন হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ এখন পর্যন্ত হোম কোয়ান্টিনে আছেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটি জেলা মেডিকেল কলেজ ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে করোনাভাইরাস চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে সরকার। বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মুগদা, পঙ্গু হাসপাতালের পুরনো অংশ ও বার্ন ইউনিটে ৩০০ বেড আছে।
করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসার জন্য। এর মধ্যে শাহাবুদ্দিন হাসপাতাল ও আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যোগ হচ্ছে।
এ ছাড়া জেলায় জেলায় বেসরকারি হাসপাতাল যোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং দেশে এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।