কর্ণফুলী নদীর সাথে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থ জড়িত : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২১

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির প্রাণ ও এই শহরকে নিয়ে অবহেলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর থেকে মহানগরী পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর পাড় লিজ দিয়ে কোনো ধরনের শিল্প কল-কারখানা নির্মাণ করা যাবেনা। কারণ কর্ণফুলী নদীর সাথে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থ জড়িত।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের চলমান ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প তদারকির জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন।
মো. তাজুল ইসলাম আজ দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, কর্ণফুলী নদীর পাড়ে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে নদী দখল ও দূষণ বাড়বে। এতে পরিবেশ এবং কর্ণফুলী নদীর স্বকীয়তা ও সৌন্দর্য নষ্ট হবে। কোনো অবস্থাতেই তা করতে দেয়া যাবে না।
কর্ণফুলী নদীর দখল ও দূষণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তা শিগগিরই শেষ হবে। আর কাজ শেষ হলে নগরবাসী এর সুফল পাবেন।
তিনি বলেন, প্রকল্পে কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি খতিয়ে দেখা হবে। যদি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সংশোধন করা হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার জন্য নালা-নর্দমা ভরাট, খালে ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং মানুষের অসচেতনতা দায়ী উল্লেখ করে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, যারা এ সমস্ত খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন তাদেরকে সেসব সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে।
সেবা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অহেতুক কেউ কারো উপর দোষারোপ করার মাধ্যমে সরকারের অর্জন ম্লান করার অধিকার কারো নেই। সেবা সংস্থারগুলোকে সমন্বয়ের মাধ্যমে নগরীর জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পাহাড় রক্ষার উপর নজর দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে যথেষ্ট আন্তরিক। মহানগরীর সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে, যা চলমান আছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম অত্যাধুনিক শহরে রূপান্তরিত হবে।
বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এমন ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।