জেলা প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বসবাসরত বাসিন্দারা হাতির আক্রমণের ভয়ে রাত কাটাচ্ছেন। সন্ধ্যা নামার পর পরই অজানা আতঙ্কে রাত পার করছেন তারা।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাতভর একটি বন্য হাতির দল কাপ্তাই বিদ্যুৎ ভবন এবং কাপ্তাই বক্স হাউজ এলাকায় অবস্থান নেন বলে জানান কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) সাখাওয়াত কবির।তিনি জানান, গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিদ্যুৎ ভবনের পাশে একদল হাতি অবস্থান নেন। পরে আমরা বাঁশি বাজিয়ে হই-হুল্লোড় করে হাতির পালকে তাড়িয়ে দিই। এসময় আশপাশে বাসিন্দারা ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ঘরে অবস্থান নেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টায় একদল হাতির দলের আক্রমণে কাপ্তাই বিদ্যুৎ এলাকার বক্স হাউজে আনসার ব্যারাক ও অফিসার কোয়াটার লন্ডভন্ড হন বলে জানান কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাৎ হোসেন।
কাপ্তাই রাইট ব্যাংক এলাকার বাসিন্দা ফারহানা আহমেদ পপি ও মিজানুর রহমান রাসেল জানান, সোমবার ইফতারের পর নতুন বাজার যাওয়ার জন্য বের হলে বিদ্যুৎ ভবনের নিচে হাতির সম্মুখীন হই। পরে আমরা হই-হুল্লোড় করে হাতি তাড়াই। এ ঘটনায় আমাদের স্বাভাবিক জীবন চলাচল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকার বাসিন্দা সুবল দাস জানান, দুদিন আগে চৌধুরী ছড়া নিচের বাজার আমি হাতির সামনে পড়ি। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যাই।কাপ্তাই পিডিবির স্টাফ বকুল জানান, একদিন আগে বিদ্যুৎ ভবন ডিউটিরত অবস্থায় রাতে হাতির সম্মুখীন হয়। পরে দৌঁড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ ভবনে ডুকে আত্মরক্ষা করি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার আবু সুফিয়ান বলেন, বনের মধ্যে খাদ্য না থাকায় হাতি লোকালয়ে এসে তাণ্ডব করছে। আমরা অপরিকল্পিতভাবে বন কেটে জুম চাষ করছি, আবার কেউ কেউ বনের গাছ কেটে বন উজাড় করছি। ফলে হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। তাই সবার উচিত হাতির আবাসস্থল যাতে ধ্বংস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।