কারাগারে থাকা বিএনপি নেতা ইশরাক অসুস্থ, রিমান্ড শুনানি ১৩ জুন

প্রকাশিত: ৪:১৯ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টাকাণ্ডে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইশরাক হোসেনের উপস্থিতিতে এ মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ছিল। তবে কারাগারে আটক থাকা এ বিএনপি নেতা অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত আগামী ১৩ জুন রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

জানা গেছে, গত ১৯ মে ইশরাকের বিরুদ্ধে হওয়া ১২ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী মো. তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ১১টি মামলায় জামিন দেন। তবে পল্টন থানার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ২৬ মে মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনসহ আরও কোনো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জড়িত আছে কি না তাদের তথ্য সংগ্রহসহ ও গ্রেপ্তারের জন্য আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এ বিষয়ে আজ ইশরাকের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা। মামলায় বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেয়া আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।