
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে গরু চুরির অভিযোগে মো. কামরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। পরে রোববার (৯ মার্চ) বিকেল ৫ ঘটিকায় অভিযুক্ত কামরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ১১টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কিছুদিন আগে করগাঁও ইউনিয়নের পাঁচলী পাড়া নগরহাটি এলাকায় দুটি গরু চুরি হয়। এ ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার বিকেলে বাদীকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে যান। অভিযানের সময় বাদী তার চুরি হওয়া গরু শনাক্ত করেন।
এরপর রফিকুল ইসলাম বাট্টা হাওর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ফখরুলকে অভিযানে সহায়তা করতে বলেন। পরে করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মো. নাদিম মোল্লা, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের সহায়তায় কামরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১১টি চোরাই গরু উদ্ধারসহ অভিযুক্ত কামরুলকে আটক করা হয়। পরে তাকে করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়।
করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মো. নাদিম মোল্লা বলেন, বহুদিন ধরেই কামরুলের বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে চুরি ও মাদকের সঙ্গে জড়িত। পুলিশের সহযোগিতায় অবশেষে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। আমরা চাই, তদন্তের মাধ্যমে এর সঙ্গে জড়িত অন্য চোরদেরও আইনের আওতায় আনা হোক।
বাট্টা হাওর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে ১১টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছি। যাদের গরু চুরি হয়েছে, তারা যথাযথ তথ্যপ্রমাণ দিয়ে গরু ফেরত নিতে পারবেন। কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
আটককৃত চোর ও উদ্ধারকৃত গরুগুলো বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত চলমান বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।