কুমিল্লার দুটি আসন পুনর্বহাল চায় ‘কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ’
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
কুমিল্লা প্রতিনিদিঃ
কুমিল্লা-৯ ও কুমিল্লা-১২ আসন পুনর্বহালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে দাবি জানিয়েছে ‘কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।
কুমিল্লা-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৮ সালে ৩০টি আসন জনসংখ্যার কথা বলে পরিবর্তন করা হয়। কুমিল্লা-৯ কে প্রথমে ২ ভাগে ও পরে ৩ ভাগ করা হয়। উচ্চ আদালতে কুমিল্লা-৯ আসনকে ৩ ভাগ করার বিরুদ্ধে রিট করার পর হাইকোর্ট এইভাবে আসন করাকে অবৈধ ঘোষণা করে। কিন্তু তৎকালীন নির্বাচন কমিশনগুলো হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে। তাই আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছে কুমিল্লা-৯ ও কুমিল্লা-১২ আসন পুনর্বহাল চেয়ে আবেদন করেছি। কমিশন সীমানা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা শেষে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
সিইসিকে দেওয়া এক স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা-৯, কুমিল্লা আদর্শ সদর-এর ছয়টি ইউনিয়ন- বিজয়পুর, বারপাড়া, পূর্ব জোড়কানন, পশ্চিম জোড়কানন, গলিয়ারা ও চৌয়ারা এবং লাকসাম উত্তরের চারটি ইউনিয়ন- বাগমারা, ভুলইন, বেলঘর, পেরুল নিয়ে ২৫৬ কুমিল্লা নির্বাচনী এলাকা গঠিত হয়েছিল। এই আসন ব্যবস্থা ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগ, ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে জাতীয় পাটি, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনে জয় লাভ করেছে।
২০০৮ সালে সেনা সরকারের সময় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য ৩০টি আসন জনসংখ্যার অজুহাত দেখিয়ে শোচনীয়ভাবে পরিবর্তন করা হয়। এমনকি কুমিল্লা-৯ কে প্রথমে ২ ভাগ, আপত্তির পর আক্রোশ বশত; ৩ ভাগ করা হয়। এরকমভাবে বাংলাদেশে ওই সময়ে কমপক্ষে ৩০টি আসন আক্রান্ত হয়। উচ্চ আদালতে কুমিল্লা-৯ আসনকে ৩ ভাগ করার বিরুদ্ধে রিট করার পর হাইকোর্ট এইভাবে আসন করাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। পরবর্তী কমিশনগুলো ঠুঁটো জগন্নাথ মতো প্রতি বছরেই হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগকে সুবিধা দেওয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
বর্তমান কমিশন জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সুষ্ঠু সীমানা নির্ধারণের জন্য কাজ করছে। এই লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তাব সাবেক কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভা, বর্তমান সিটি কর্পোরেশনের (১৯-২৭) নম্বর ওয়ার্ড, লালমাই উপজেলা, সদর দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে কুমিল্লা-০৯ পুনর্বহাল এবং ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে আগের ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৬ ও ২০০১ এর মতো আসন ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হোক।