স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টঃ
জাতীয় দলের খেলা শেষ হওয়ায় ক্রিকেটারদের মনোযোগ এখন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। নবম রাউন্ড থেকে তারকা ক্রিকেটারদের দেখা যাবে লিগ ম্যাচে। সুপার লিগেও থাকছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তবে তারা সুপার লিগের শেষ রাউন্ড পর্যন্ত খেলতে পারবেন কিনা, তা নির্ভর করছে জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ওপর।
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু গতকাল জানান, ক্রিকেটারদের ‘কন্ডিশনিং অ্যান্ড স্ট্রেন্থ’ টেস্ট ছাড়াও জিম্বাবুয়ে সিরিজের ক্যাম্প করার বিষয় রয়েছে। কোচের কাছ থেকে পরিকল্পনা পাওয়ার পরই বোঝা যাবে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সুপার লিগের কতটি ম্যাচ খেলতে পারবেন। নির্বাচকরা মনে করেন, সুপার লিগে তিন থেকে চার রাউন্ড পর্যন্ত শান্তদের খেলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম রাউন্ড শেষ হবে ১৯ এপ্রিল। ঢাকা মেট্রোপলিস ক্রিকেট কমিটির (সিসিডিএম) সমন্বয়ক মহিউদ্দিন বিল্লাহ জানান, ২১ বা ২২ এপ্রিল থেকে সুপার লিগ শুরু করে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে খেলা শেষ করার পরিকল্পনা তাদের। কিন্তু জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লিগের খেলায় নাও থাকতে পারেন। কারণ ৩ মে থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি২০ সিরিজ শুরু চট্টগ্রামে। ওই সিরিজের প্রস্তুতির জন্য তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প রাখতে পারেন কোচ। সে ক্ষেত্রে ‘ফিটনেস অ্যান্ড স্ট্রেন্থ’ টেস্ট হবে লিগ ম্যাচের বিরতিতে। প্রধান নির্বাচক লিপু বলেন, ‘ছুটি কাটিয়ে ট্রেনার ফিরে এলে হবে ফিটনেস টেস্ট। খুব দৌড়ঝাঁপ হবে না, সবার শারীরিক সক্ষমতা দেখা হবে। লিগের খেলার মধ্যেই করতে হবে সেটা।’
লিগের শেষ তিন রাউন্ডের খেলা শুরু আজ থেকে। নাজমুল হোসেন শান্তরা প্রথম ম্যাচ খেলবেন চলতি মৌসুমের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি২০, ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজ থাকায় শান্তরা লিগে খেলতে পারেননি। সৌম্য সরকার খেলতে পারেননি চোট থাকায়। জাতীয় দলের এই ব্যাটার সুপার লিগ থেকে খেলতে পারেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে কয়েকটি ম্যাচ খেলে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে চান তিনি। আঙুলে চোট থাকা মুশফিকের হয়তো লিগে খেলা হবে না। তবে দু-তিন দিনের মধ্যেই ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু করবেন তিনি। চোটের ২১ দিন পূর্ণ হলে ৭ বা ৮ এপ্রিল সৌম্যর হাঁটু পরখ করে দেখা হবে। যদিও মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী ভালো আছেন সৌম্য।
টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসান লিগে খেলেছেন তিন ম্যাচ। সুপার লিগের শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেন তিনি। লিগে লিটন কুমার দাসের ওপর নজর থাকবে বেশি। কারণ সাদা বলের ক্রিকেটে ছন্দে না থাকায় শেষ ওয়ানডে ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া টি২০ দলের বাকিরা ভালোই খেলছেন লিগে। তাওহিদ হৃদয়, পেসার তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিবরা ছন্দে আছেন। হাথুরুসিংহের জন্য যেটা স্বস্তির।