লাইফ স্টাইলঃ
সারাদিন বিশ্রামের পরেও কি কখনো ক্লান্তি অনুভব করেছেন? আপনি কি পুরো রাত ঘুমের পরেও ফের ঘুমিয়ে পড়েছেন? ভাবছেন কোনো কারণ ছাড়াই কীভাবে এত ক্লান্ত হয়ে পড়লেন? এটি আপনার মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এটিকে অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি হিসাবে উল্লেখ করেন, যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে ঘটে। পুষ্টিবিদ শিখা গুপ্ত সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি অতি সহজ ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়ের রেসিপি শেয়ার করেছেন যা আপনাকে অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে।
অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি কী?
ওয়েবএমডি অনুসারে, অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি শব্দটি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ জেমস উইলসন ১৯৯৮ সালে আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি এটিকে এমন একটি অবস্থা হিসাবে বর্ণনা করেছেন যেখানে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলো প্রয়োজনীয় স্তরের নিচে কাজ করে, সাধারণত তীব্র চাপ এবং দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে এমনটা হয়। এই দীর্ঘস্থায়ী চাপের ফলে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলো অত্যধিক কর্টিসল উৎপাদন থেকে জ্বলতে থাকে, যার ফলে অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি হয়।
দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলোকে আচ্ছন্ন করতে পারে, যার ফলে শরীরে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। তবে সরাসরি অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি শনাক্ত করার জন্য কোনো পরীক্ষা নেই। এটি সাধারণত লক্ষণের ওপর ভিত্তি করে চিহ্নিত করা হয় যেমন- ক্লান্তি, অপর্যাপ্ত ঘুম এবং লবণ, চিনি বা ক্যাফেইনের জন্য লোভ বেড়ে যাওয়া।
অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি দূর করার উপায়
জমে থাকা টক্সিনগুলোকে বের করে দিতে এবং শরীরে রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে যথাযথ ডিটক্সিফিকেশনের প্রয়োজন। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং কর্টিসল উৎপাদনকে সমর্থন করে। ডবনগউ এর রিপোর্ট অনুযায়ী ভিটামিন ই৫, ই৬, ই১২, ঈ, এবং ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে সঠিক পুষ্টির সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন। বিষয়টি মাথায় রেখে পুষ্টিবিদ শিখা গুপ্তা একটি স্বাস্থ্যকর কঙ্কোশন তৈরি করেছেন যা আপনাকে সঠিক ডিটক্সিফিকেশনের জন্য ইলেক্ট্রোলাইট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন পৌঁছে দেবে।
অ্যাড্রিনাল ক্লান্তির জন্য ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় তৈরি করবেন যেভাবে
১. ১০০-১৫০ মিলি পানি বা ডাবের পানি নিন।
২. অর্ধেক লেবুর রস বা ১০০ মিলি কমলার রস যোগ করুন।
৩. এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ টারটার ক্রিম মেশান। এর বদলে আরও কিছুটা লেবুর রস বা আপেল সাইডার ভিনেগারও দিতে পারেন।
৪. এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ সামুদ্রিক লবণ যোগ করুন।
৫. একটি গ্লাসে এটি সব মিশিয়ে নিন। পানীয়টি সকালে নয়তো দুপুরের আগে দিনে একবার পান করুন।