স্পোর্টস ডেস্ক রিপোর্টঃ
ক্রিকেটে ফিল্ডিং গুরুত্বপূর্ণ হলেও ব্যাটিং, বোলিংটাই মুখ্য। তাই নিজের ব্যাটিং কিংবা বোলিং দিয়েই ক্রিকেটাররা তারকা খ্যাতি পান। ফিল্ডিং দিয়েও যে ভক্তদের মনে জায়গা করে নেওয়া যায়, তা প্রথম করে দেখিয়েছিলেন জন্টি রোডস। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ক্রিকেটার এখন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ফিল্ডিং কোচ।লক্ষ্ণৌতে শিষ্যদের জন্য একটা বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন রোডস। প্রতি ম্যাচেই দলের সেরা ফিল্ডার বাছাই করেন তিনি। তাকে দেওয়া হয় পুরস্কারও। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ ম্যাচেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি।
সের ফিল্ডার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত এমন কাউকে বেছে নেওয়া হয়, যিনি রান বাঁচিয়েছেন বা দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন। অথচ চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে এমন একজনকে সেরা ফিল্ডার হিসেবে বেছে নেন রোডস, যিনি ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন। এমনকি দীপক হুদা শুধু ক্যাচই মিস করেননি, সেই বলটি তার হাত ফসকে হয়েছে ছক্কা।
হুদা আসলে ক্যাচ মিস করেই সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দিতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন রোডস। তিনি বলেন, ‘ফিল্ডিং শুধু দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করাই নয়, ফিল্ডিং মানে মাথা খাটানোও। ওই হলুদ দলটায় (চেন্নাই) এমএসডি নামের একজন আছে, যে ৪০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে থাকে। আমার মতে ওই সময় দীপক হুদার বলটাকে ছয় হতে দেওয়াটা স্মার্ট সিদ্ধান্ত ছিল। ওই সময় ধোনি এলে আরও পাঁচটা বল খেলে ফেলত।’
সেটি চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসের ১৭তম ওভারের ঘটনা। ওভারের তৃতীয় বলে মহসিন খানকে লং অনের দিকে তুলে মারেন রবীন্দ্র জাদেজা, সেখানে ছিলেন হুদা। বাউন্ডারি দড়ির কাছে থাকা হুদা বল হাতেও নিতে পারেননি, বল যায় সীমানার বাইরে।হুদা জাদেজার ক্যাচ মিস করার ৭ বল পর মাঠে নামেন ধোনি। খেলেন ৯ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংস। ম্যাচটি যদিও শেষ পর্যন্ত চেন্নাই জিততে পারেনি। ধোনিদের ৬ উইকেটে ১৭৬ রান লক্ষ্ণৌ টপকে যায় ৬ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই।