নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের বন্ধু পরিচয়ে প্রতারণার দায়ে ভাটারা থানার মামলায় আশরাফুল ওমর উজ্জ্বল নামের একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাস কারাভোগ করতে হবে। আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মেহেদী ইমাম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৩ জুলাই আদালতে আসামি উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।
মামলার এজাহারে মেহেদী ইমাম বলেন, বিবাদী আশরাফুল ওমর উজ্জ্বল ভাটারা থানাধীন নর্দায় আমার জাপান মটরসের শোরুমে গাড়ি কিনতে আসেন। তখন তিনি নিজেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিভুক্ত একজন খেলোয়ার ও সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক হিসেবে পরিচয় দেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মেহরাব হোসেন অপি ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ছোট ভাই এবং জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের বন্ধু বলে পরিচয় দেন। বর্তমান ক্রিকেটারদের অনেকের সঙ্গে তার সখ্যতা রয়েছে বলেও জানান। বিভিন্ন ক্রিকেটার ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিজের তোলা ছবি দেখিয়ে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত খেলোয়ার হিসেবে বিশ্বাস স্থাপন করান।
এজাহারে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলসহ সিনিয়র ক্রিকেটারদের আমার শোরুমে নিয়ে আসবে এবং তাদের ভিডিও করে ইউটিউবে ছেড়ে দিলে শোরুমে গাড়ি বিক্রি আরও ভালো হবে বলে আমাকে প্রলোভন দেখান। পরে আমার কাছে টাকা ধার হিসেবে চান এবং বলেন আমি যখন গাড়ি কিনব তখন সব টাকা পরিশোধ করে দেবো।
বাদী তার এজাহারে বলেন, আমি সরল বিশ্বাসে দুই দফায় তাকে এক লাখ টাকা দিই। পরে পাওনা টাকা চাইলে টাকা ফেরত না দিয়ে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে জানতে পারি আশরাফুল ও অপির পরিচয়ে যাদের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করিয়ে দেন তারা কেউই আশরাফুল বা অপি নন। বরং অন্য কাউকে আশরাফুল ও অপি সাজিয়ে বিবাদী প্রতারণা করেন।