গবেষণার ফল দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে কিনা ভাবতে হবে: ইউজিসি

প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২৩

সাজ্জাদ হোসেন:

গবেষণার ক্ষেত্রে প্রায়োগিক দিক বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গবেষণা করার ক্ষেত্রে এর ফলাফল দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে কিনা সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ইউজিসি সভাকক্ষে শিক্ষা বিভাগীয় কর্মচারীদের (শিক্ষক) পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ও শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সামঞ্জস্য নিরূপণ শীর্ষক একাডেমিক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।

সেমিনারে প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছরই বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণাকর্ম সম্পাদিত হচ্ছে। রিসার্চ জার্নালে পাবলিকেশনের মাধ্যমেই অনেক ভালো ভালো গবেষণা শেষ হয়ে যায় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রাপ্তিতে এসব গবেষণা সহায়ক হচ্ছে। কিন্তু গবেষণা করার ক্ষেত্রে এর ফলাফল দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে কিনা সে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে থাকে। গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতি উপকৃত হয়। আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্যথায় দেশের উচ্চশিক্ষাখাত পিছিয়ে পড়বে।

সেমিনারে উপস্থিত দেশের ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫জন শিক্ষাবিদ পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে ইউজিসি’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নাসিম বানু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক ও অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল ও আইইআর-এর প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ড. আবদুল মালেক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক ড. তোফাজ্জল ইসলাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন সরকারি কলেজের ১৫ জন শিক্ষকের পিএইচডি অভিসন্দর্ভ মূল্যায়ন করে শিক্ষাদান সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে অর্জিত ডিগ্রির সামঞ্জস্য নিরূপণে এই একাডেমিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।