গাজীপুরে শ্রমিক নিহতের খবরে পোশাক কারখানায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ভাঙচুর-আগুন

প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৩

গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে মো. রাসেল হাওলাদার (২৫) নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবরে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার জের ধরে আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাজীপুরের কোনাবাড়িতে এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

জানা যায়, আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানায়, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সকাল থেকে কোনাবাড়ি ও আশপাশের এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছিল। আন্দোলন চলাকালে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ ঘটে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিকেলের দিকে মো. রাসেল হাওলাদার (২৫) নামে গুলিবিদ্ধ পোশাক কারখানার এক শ্রমিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে তারা আশপাশে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা গাজীপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও ভাঙচুর করে। ঘটনার একপর্যায়ে কোনাবাড়ি এবিএম কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এর আগে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজ পোস্টকে বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকরা প্রথমে যমুনা ফ্যাশনে আগুন দেয়। পরে এবিএম কারখানায় আগুন দেওয়া হয়। রাতেই ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার পর থেকেই গাজীপুরের কোনাবাড়িসহ আশপাশের এলাকায় চরম উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।