মোঃ সাইফুল ইসলামঃ
দালালদের সঙ্গে যোগসাজশে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে এনআইডি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।লক্ষ্মীপুর সদর নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে পরিচালিত অভিযানে। যদিও দুদকের অভিযানে তাৎক্ষণিক কয়েকজন সেবা গ্রহীতা ঘুষ ছাড়াই সেবা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সোমবার অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক টিম।
দুদক সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দালালদের সঙ্গে যোগসাজশে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে এনআইডি করিয়ে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। টিম ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতা এবং নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। পরে অভিযোগের বিষয়ে সদর নির্বাচন অফিসার, লক্ষ্মীপুর এবং জেলা নির্বাচন অফিসার, লক্ষ্মীপুরের সঙ্গে কথা বলে এনফোর্সমেন্ট টিম। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করার আগেই ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সিলেট টিমের একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের নিয়ামতপুর-তাহিরপুর প্রকল্পের ৯ কিলোমিটার রাস্তার প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিল, ভাউচার সম্বলিত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। অধিকতর যাচাইয়ের জন্য নির্মাণাধীন ওই ৯ কিলোমিটার রাস্তার কাজ পরিদর্শন করা হয় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।