সেলিনা আক্তারঃ
চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর অল্প কিছুদিন বাকি আছে। এর আগেই ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হবে। যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিএসের তথ্যমতে, এ বছর বাংলাদেশের জিডিপির আকার বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৪৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।সাময়িক হিসাবে বলা হচ্ছে, এ অর্থবছরে বড় ধাক্কা আসছে শিল্প খাতে। শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির হিসাবে সবচেয়ে খারাপ কৃষি খাতে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের অর্থবছরে যা ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে শিল্প ও কৃষিতে কমলেও আগের বছরের তুলনায় এবার সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে ধারণা দিয়েছে বিবিএস।
সংস্থাটি বলছে, সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে, আগের অর্থবছরে যা ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এ প্রবৃদ্ধি আরও কম হবে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫.৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৮ শতাংশ।
যদিও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বলছে প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হবে। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বভাস বলছে, রপ্তানির ওপর নির্ভর করে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ হবে। আগামী অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬.৬ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক এই ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি।