চাঁদপুর প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় যুবলীগের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবলীগকর্মী মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন। গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ ইমরান ব্যাপারী, জহির ও ইমনকে ঢাকায় প্রেরণ এবং অপর ২ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন – জহির (৩২) ও বিলকিছকে (৩৫) মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ শনিবার (১৭ জুন) বিকেল ৩টায় উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুসা নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সন্ধ্যায়
নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দীন।
তিনি বলেন, নিহত মোবারক হোসেন বাবু বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ইমরান ব্যাপারী, জহির ও ইমনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত জহির (৩২) ও বিলকিছকে (৩৫) মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের ভাই আমির হোসেন কালু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য আমরা বাহাদুরপুর থেকে রওয়ানা হই। এসময় মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানের কর্মী-সমর্থকরা আমাদের ওপর বর্ষণ শুরু করে। এতে আমার ভাই বাবুসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিগমা রশিদ আমার ভাই মোবারক হোসেন বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই দুই গ্রুপ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানের অনুসারী। সংঘর্ষ চলাকালে হতাহতের এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলস আশপাশের এলাকা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছ। হতাহতের এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি মহীউদ্দীন।