জাবি প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা।

আজ সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর আগে, গত ১৭ জুলাই চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন তারা। এরপর গতকাল আমরণ অনশন শুরু করেন তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনের ফ্লোরে ত্রিপল বিছিয়ে কাঁথা-বালিশ নিয়ে অনশনে বসেছেন অর্ধশতাধিক কর্মচারী। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে মালি পদে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারী শরিফুল ইসলাম ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের অস্থায়ী কর্মচারী মো. রায়হান কাফনের কাপড় পরে শুয়ে আছেন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তাদের কোনো ছুটিও নেই। একদিন ছুটিতে গেলে ওইদিন আর টাকা পান না তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে আন্দোলন করছেন তারা। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তারা। তখন প্রশাসনের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন স্থগিত করেন তারা। তবে আশ্বাসের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও তার কোন বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে তারা আবারও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘হয় চাকরি, নয়তো মৃত্যু। এভাবে অমানবিক জীবনযাপন করতে পারছি না। চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ এখান থেকে যাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, ‘চাকরি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত ইউজিসি থেকে নেওয়া হয়। ২৭ জুলাই ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের মধ্যে থেকে ধাপে ধাপে চাকরি স্থায়ী করার জন্য অনুরোধ করে। তবে ইউজিসির চেয়ারম্যান কয়েকটি পদের অনুমোদন দেবেন বলে আশ্বস্ত দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান ইউজিসির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।’