চিকিৎসক ও গৃহবধূর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজি, কারাগারে ২

প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৪

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালী সদর উপজেলায় পল্লী চিকিৎসক ও গৃহবধূর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজি করায় মো. আফনান হোসেন শুভ (২০) ও মো. রুহুল আমিন (৩৫) নামে দুইজনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।

শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুক্রবার রাতে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দেবীপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মো. আফনান হোসেন শুভ নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. হারুনের ছেলে ও একই গ্রামের মৃত আহাম্মদ উল্যাহর ছেলে রুহুল আমিন।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, পল্লি চিকিৎসক মো. ইউসুফ সজিব (২৯) গত ৩ ডিসেম্বর রাতে ফার্মেসি থেকে ফেরার পথে প্রতিবেশী গৃহবধূর (১৯) অসুস্থ ছেলের জন্য ওষুধ দিতে গেলে এলাকার আফনান হোসেন শুভ (২০), মো. রুহুল আমিন (৩৫) ও মো. সোহেলসহ (২৪) অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ জন চিকিৎসক ও গৃহবধূকে আটক করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে দফায় দফায় চার লাখ ১১ হাজার টাকা আদায় ও তিন আনা ওজনের একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।

বখাটেরা আরও চাঁদা দাবি করলে পল্লি চিকিৎসক মো. ইউসুফ সজিব জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ধারণকৃত আপত্তিকর ভিডিওসহ দুটি মোবাইল ফোন, চাঁদাবাজির নগদ ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের কানের দুল উদ্ধার করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় পর্নোগ্রাফিসহ চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।