করোনাভাইরাস সন্দেহে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া চীনফেরত মেডিক্যাল শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদের (২৮) শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সোমবার রাতেই এই তথ্য নিশ্চিত হলে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রবিবার সন্ধ্যায় অসুস্থ বোধ করায় রায়হান হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার রক্তের স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়েছে তার রক্তে করোনাভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে আমরা রিপোর্ট হাতে পাই।

হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) শামীমা আক্তার বলেন, রায়হান আহমেদের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব না পাওয়ায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে তিনি বাসায় চলে গেছেন।

এর আগে গত রবিবার সন্ধ্যায় রায়হান আহমেদ অসুস্থ বোধ করলে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় তিনি চীনফেরত শিক্ষার্থী হওয়ায় করোনা আক্রান্তের সন্দেহে হাসপাতালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে রায়হান আহমেদ বাসায় চলে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তাকে বাসা থেকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা ভবনের পঞ্চম তলায় করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য খোলা বিশেষ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। রায়হান আহমেদ হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার আব্দুল নূরের ছেলে।

তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রায়হান আহমেদ একজন মেডিক্যাল শিক্ষার্থী। ইন্টার্ন করতে তিনি চীনের জিয়ানশি প্রদেশে অবস্থান করছিলন। সম্প্রতি সেখানে করোনাভাইরাসে মৃত্যু আতঙ্ক দেখা দিলে তিনি চীন থেকে দেশে ফেরেন।